সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার ইন্দোনেশিয়ার সুগিতোকে কুমিরে টেনে নিয়ে গিয়েছিল। একদিনের অপেক্ষার পরও ফেরেনি সুগিতো। তার পর থেকেই গোটা পশ্চিম পাপুয়ার শোরঙ্গ গ্রাম ফুঁসছে। কিন্তু তাদের রাগ যে গ্রামের গোটা কুমিরকুলের পোহাতে হবে, তা কেউ জানতেন না।
সুগিতো নিখোঁজ হওয়ার পরই পশ্চিম পাপুয়ার মানুষের মধ্যের শোকের ছায়া কম ছিল। শুধু প্রতিহিংসার আগুনটা ধিকিধিকি জ্বলছিল। সেটাই শনিবার ভয়ংকর রূপ নিল। নদী থেকে টেনে হিচঁড়ে বের করে এনে ২৯২ কুমিরকে হত্যা করল গ্রামবাসীরা। সুগিতো টোফু বানানোর কারখানায় কাজ করতেন। শনিবার নদীর ধারে গিয়েছিলেন ঘাস কাটতে। কিন্তু তার পর আর ফেরা হয়নি। সুগিতোকে যখন কুমির টেনে নিয়ে যায়, তখন আশপাশের অনেকেই তাঁর চিৎকার শুনে ছুটে আসে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। শুক্রবারের এই ঘটনার পর ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা সংঘবদ্ধ হন। বনদপ্তরের অফিসের সামনে অনেকে প্রতিবাদও দেখান। কিন্তু কাজের কাজ হচ্ছে না দেখে চড়াও হন কুমিরদের উপর।
[কুলভূষণ কাণ্ডে ফের আন্তর্জাতিক আদালতে পাকিস্তান, দেবে ভারতের অভিযোগের জবাব]
কুমির মারার এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়েছে। ভিডিও-এ দেখা যায়, কয়েকশো লোক দল বেঁধে দড়ি দিয়ে টেনে টেনে কুমির নদী থেকে তুলে আনছেন। তারপর কুমিরগুলিকে হত্যা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলে ৬০ জন পুলিশকর্মীও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু গ্রামবাসীর সংখ্যা ছিল ছ’শোর কাছাকাছি। তাই পুলিশের পক্ষেও তাঁদের বাধা দেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে বেঘোরে প্রাণ গেল ২৯২টি কুমিরের। কুমির মারার এই নৃশংস ভিডিও দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই সরব হয়েছেন। গোটা ব্যাপারটাই যে খুব অমানবিক সে নিয়েও লিখেছেন। বনদপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের আইন নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে।
[আজব কাণ্ড! গুগলে ‘ইডিয়ট’ সার্চ করলে আসছেন ট্রাম্প]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.