Advertisement
Advertisement

Breaking News

জিনগতভাবে দুর্বল হচ্ছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, অবলুপ্তির পথে ‘বাংলার গর্ব’!

প্রজনন ক্ষমতাও কমছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের।

Genetic mutation in Royal Bengal Tigers: Experts
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:July 30, 2018 8:17 pm
  • Updated:July 31, 2018 10:58 am

সুকুমার সরকার, ঢাকা: ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। কমছে প্রজনন শক্তিও। প্রতিকূল পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতা ক্রমে হারিয়ে ফেলছে এই বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীটি। একটি গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই উদ্বেগজনক তথ্য।

[রোহিঙ্গাদের মতোই নিয়তি! কী পরিণতি হবে নাগরিকত্ব হারানো ৪০ লক্ষ ‘অসমবাসী’র?]

Advertisement

সুন্দরবনের একটি বড় অংশ বাংলাদেশের মধ্যে। ওই অঞ্চলেই সম্প্রতি গবেষণা চালায় বাংলাদেশি ও বিদেশি বিজ্ঞানীদের একটি যৌথ দল। গভীর জঙ্গলে বিস্তারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাঁরা জানতে পারেন, সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে বাঘেদের চারণভূমি। সুন্দরবনের অভ্যন্তরে বয়ে যাওয়া পাঁচটি নদী বাঘেদের নির্দিষ্ট সীমানায় আবদ্ধ করে ফেলেছে। ফলে অন্য এলাকার বাঘিনীদের সঙ্গে সঙ্গম করতে পারছে না বাঘেরা। ফলে তাদের সংখ্যা লাগাতার কমছে। এমনটাই চলতে থাকলে পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাবে আরও একটি বিরল প্রাণী। বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন, নদীগুলিতে নৌকা চলাচল ও জঙ্গলে মানুষের গতিবিধিই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের এই দশার জন্য দায়ী।

Advertisement

ক্রমাগত একই অঞ্চলে আবদ্ধ থেকে পরিবর্তিত স্থান বা পরিস্থিতিতে খাপ খাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতা হারাচ্ছে বাঘেরা। তাদের জিনেও এই পরিবর্তন ধরা পড়েছে। ‘সুন্দরবনের বাঘের জিন কি নদীর মাধ্যমে প্রভাবিত হচ্ছে?’ শীর্ষক গবেষণা প্রবন্ধটি চলতি বছর স্প্রিংগার প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে। ঢাকার অদূরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আবদুল আজিজের নেতৃত্বে এই গবেষণা চালানো হয়। ওই দলে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের শিক্ষক অ্যাডাম বার্লো ও ইউনাইটেড কিংডমের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন গবেষক। অধ্যাপক আবদুল আজিজ বলেন, চোরাশিকার-সহ নানা অবৈধ গতিবিধি বাড়ছে সুন্দরবনে। ফলে বাঘেদের অস্তিত্ব সংকটে। সুন্দরবনের চারপাশে যেভাবে শিল্পকারখানা হচ্ছে, তাতে নৌ পরিবহণ আরও বাড়বে। নৌ চলাচল নিয়ন্ত্রণে আনা না গেলে বাঘেদের বিচরণ আরও সীমিত হবে ও প্রাণীটি জিনগতভাবে আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। সরকারি হিসাবে বর্তমানে বাঘের সংখ্যা ১০৬ টি। ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর থেকে ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পরিচালিত ওই গবেষণায় বাঘের মলের ৫১২টি নমুনা সংগ্রহ করা   

                       [নাগরিকপঞ্জির নামে চলছে ‘বাঙালি খেদাও’, অসম ইস্যুতে কেন্দ্রকে তোপ মমতার]                              

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ