ছবি: প্রতীকী
সোমনাথ পাল , বনগাঁ: মেলার মাঠে আলাপ হয় দুজনের। তারপরেই কাজ দেওয়ার নাম করে ভুল বুঝিয়ে নিয়ে গিয়ে নিষিদ্ধ পল্লিতে বিক্রি করা হয় নাবালিকাকে। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা ঠাকুরনগর এলাকার এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে গাইঘাটা থানার পুলিশ৷ ধৃতের নাম সৌমিত্র হালদার।
বাবা-মা কাজের সূত্রে থাকেন ভিনরাজ্য। বছর তেরোর ওই নাবালিকা থাকত ঠাকুমার কাছে। গত চৈত্রমাসে ঠাকুরনগর মতুয়া মহামেলায় বান্ধবীর সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিল সে। সেখানেই অভিযুক্ত সৌমিত্রর সঙ্গে আলাপ হয় ওই নাবালিকার। মেয়েটিকে অন্য রাজ্যে নিয়ে গিয়ে ভাল কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় সৌমিত্র। সরল মনে সেকথা বিশ্বাস করে সৌমিত্রর সঙ্গে ভিনরাজ্যের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয় সে। অভিযোগ, কাজ দেওয়া তো দূরের কথা উলটে মেয়েটিকে নিষিদ্ধ পল্লিতে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দেয় অভিযুক্ত। মেয়েটিকে বিক্রি করে মোটা অঙ্কের টাকাও পায় সে।
বেশ কিছুদিন ওই অন্ধকার জগতেই কাটাতে হয়েছে মেয়েটিকে। সুযোগ বুঝে দিন কয়েক আসে পালিয়ে আসে ওই নাবালিকা। বাড়ি ফিরে নিজের ঠাকুমাকে সবটা জানায় সে। তারপরই পরিবারের তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছে গাইঘাটা থানায়। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে এই পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছে কয়েকজন মহিলাও। শুক্রবার ধৃতকে বনগাঁ আদালতে তোলা হয়। আদালতের নির্দেশে তাঁকে পাঁচ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ। ধৃতকে জেরা করে পাচার চক্রে জড়িত বাকিদের খোঁজ পেতে চাইছে পুলিশ৷ জিজ্ঞাসাবাদেও উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধৃত যুবক আগেও কয়েকজন মহিলাকে পাচার করেছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। রাজ্যে নারী এবং শিশু পাচার যেভাবে বাড়ছে তাতে রীতিমতো উদ্বিগ্ন বুদ্ধিজীবী মহল। দ্রুত এই অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি করছেন স্থানীয়রা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.