Advertisement
Advertisement

ভিক্ষুকের বাড়িতে বিদ্যুতের বিল লক্ষাধিক টাকা, হয়রানির শিকার ‘ভিখারি গ্রাম’

কী করে উঠল লক্ষাধিক টাকার বিল?

Beggar gets electricity bill of Rs 1 Lakh in Bengal
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:August 18, 2018 11:04 am
  • Updated:August 18, 2018 11:04 am

স্টাফ রিপোর্টার, সিউড়ি: সবাই জানে গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই ভিক্ষাজীবি। তাই গ্রামের নাম মুখে মুখে হয়ে গিয়েছে ‘ভিখারি গ্রাম’। তারাপীঠের ঢিল ছোঁড়া দূরত্বের সেই গ্রামের ভিখারি পরিবারের বিদ্যুৎ বিল লক্ষাধিক টাকা। বিল পরিশোধ করতে না পারায় প্রত্যেকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে বিদ্যুৎ বণ্টন দপ্তর। কিন্তু কী করে উঠল লক্ষাধিক টাকার বিল? নিজেরাই ধন্ধে বণ্টন দপ্তর। অবিলম্বে সমস্যার সমাধানে আশার কথা শুনিয়েছে বিদ্যুৎ দপ্তর।

[জামাইয়ের সঙ্গে শাশুড়ির সম্পর্ক, সন্দেহে পরিবারকে তালাবন্দি করল শ্বশুর]

খোদাবক্স শা, গোলাব শা। পেশা ভিক্ষাবৃত্তি। প্রথমজনের বিদ্যুৎ বিল ৭২ হাজার, দ্বিতীয় জনের বকেয়া ৯৬ হাজার। শুধু খোদা কিংবা গোলাবদের নয়, একই ব্লকের বাবলাডাঙা গ্রামের দিনমজুর মহম্মদ নাসিমুদ্দিনের বকেয়া বিল ১ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা। কালিদহ গ্রামের ঝুমা বেওয়ার বকেয়া বিল ৬৮ হাজার ৬৩৩ টাকা। বিল পরিশোধ করতে না পারায় প্রত্যেকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। নাসিমুদ্দিন বলেন, “প্রথমদিকে তিন মাস অন্তর বিল আসত ১৩০০ টাকা করে। পরে সেই বিল লাফিয়ে হয় ১ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা। ওই ভুয়ো বিল পরিশোধ করতে না পারায় গত ছ’বছর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় বিদ্যুৎ বণ্টন নিগম।” তার দাবি, বিল সংশোধনের জন্য বার বার আবেদন করে কোন সাড়া মেলেনি। ঝুমা বেওয়া বলেন, “দিনমজুরি করে সংসার চলে। একদিন ৬৮ হাজার টাকার বিদ্যুতের বিল এল। বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের অফিসে বার বার গিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তারা জানিয়েছে, আগে পুরনো বিল মেটাও তারপর অভিযোগ শোনা হবে। বিল পরিশোধ করতে না পারায় অন্ধকারে রয়েছি।”

Advertisement

খোদাবক্স শা, গোলাব শা বলেন, “আগে মাসে আড়াইশো টাকা বিল আসত। একটি বাল্ব, একটি পাখা ব্যবহার করতাম। হঠাৎ করে মোটা টাকা বিল চলে আসায় আমরা দিশাহারা। বিল সংশোধনের জন্য বারবার দপ্তরে গিয়েছিলাম। কেউ আমাদের কথা শোনেনি।” ফলে ঢিল ছোড়া দূরত্বে তারাপীঠে আলো ঝলমল করলেও পাশের ফুলিডাঙার ভিখারি গ্রাম থাকে অন্ধকারে। রাজ্য সরকার বকেয়া বিল আদায়ের উপর জোর দিতেই নড়েচড়ে বসে বিদ্যুৎ বণ্টন নিগম। বকেয়া বিল আদায়ে শুক্রবার ডেকে পাঠানো হয় বিডিও অফিসে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিডিও প্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের মাড়গ্রাম স্টেশন ম্যানেজার শিশুনাথ দাস, ওসি অরূপ দত্ত। প্রসন্নবাবু বলেন, “গ্রাহক এবং বিদ্যুৎ বণ্টন নিগম দু’জনের ভুলেই এই বিল হতে পারে। তবে দপ্তরে গিয়ে সমস্যার সমাধান করতে হবে। বিল বকেয়া রাখা যাবে না।”

Advertisement

ছবি : সুশান্ত পাল

[ফাঁকা বাড়িতে টেনে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার যুবক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ