Advertisement
Advertisement

Breaking News

কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসে অভিযুক্ত শিক্ষক

তীব্র চাঞ্চল্য মেমারিতে। গ্রেপ্তার অভিযুক্ত।

Burdwan: Raped by teacher college student commits suicide

ছবি- মুকলেসুর রহমান

Published by: Suparna Majumder
  • Posted:August 21, 2018 11:31 am
  • Updated:August 21, 2018 11:31 am

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: কলেজ ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে। শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ। পথ আটকে বিক্ষোভ দেখালেন মৃত ছাত্রীর আত্মীয়-পরিজনেরা। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

[নাশকতার আশঙ্কা, আসানসোল স্টেশনের নিরাপত্তায় বহাল ‘কোকো, জাভা, জোজো’]

Advertisement

মৃত ছাত্রীর নাম রহিলা খাতুন (১৯)। মেমারি কলেজের বাংলা অনার্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন তিনি। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ায় অভিযুক্ত ওই বিভাগেরই আংশিক সময়ের শিক্ষক রবীন মজুমদার। মেমারির মায়েরকোল পাড়ায় বাড়ি রহিলার। সোমবার সকালে রহিলার মৃত্যুর খবর জানা যায়। সকালে ঘুম থেকে না ওঠায় বাড়ির লোকজন তাঁকে ডাকাডাকি শুরু করেন। অনেক ডেকেও সাড়া না পেয়ে জানলা দিয়ে উঁকি মেরে দেখেন, সিলিং ফ্যানে ওড়নার ফাঁসে ঝুলছে ছাত্রীর দেহ। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীদের ডাকা হয়। দরজা ভেঙে রহিলাকে উদ্ধার করে মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক কলেজ ছাত্রী রহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

[নারী পাচার রুখতে ডুয়ার্সে ‘গার্লস ক্লাব’, সমস্যা মেটাতে নয়া উদ্যোগ]

ঘটনার পর অভিযুক্ত শিক্ষক রবীন মজুমদারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতার পরিবার ও পরিজনেরা। তার বাড়ির সামনে গিয়ে প্রথমে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে মেমারিতে পথ অবরোধ করে চলে বিক্ষোভ। রহিলা খাতুনের বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে সহবাস করেছে রবীন। প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণা করে রহিলাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে সে।  ঘটনার পরই  মেমারির সোমেশ্বরতলার বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় শিক্ষক রবীন মজুমদার। এদিকে অনেক রাত পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ না থাকায় কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। অভিযোগ পাওয়ার পরই অবশ্য তৎপর হয় পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে গ্রেপ্তার করা হয় রবীন মজুমদারকে। উল্লেখ্য, শিক্ষকের বিরুদ্ধে কয়েকমাস আগেই কলেজের অধ্যক্ষ ও অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের কয়েকজনকে নিগ্রহে মদত দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কলেজেরই এক শিক্ষাকর্মীকে মদত দিয়ে দিনের পর দিন কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিস চক্রবর্তী ও অন্যান্যদের হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ। আবার কলেজ থেকে স্নাতক স্তরের প্রশ্নপত্র ফাঁস করার চেষ্টারও অভিযোগ রয়েছে আংশিক সময়ের ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

[বন্ধ ঘর থেকে যুবকের পচাগলা দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য মালবাজারে]

 

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ