ছবি: প্রতীকী
দেবব্রত মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ফের ছাদনাতলায় নাবালিকার বিয়ে রুখল পুলিশ। তারপরেও চার হাত এক করে দিতে চেষ্টার কসুর করলেন না অভিভাবকরা। তবে পুলিশি তৎপরতায় সেই চেষ্টা সফল হয়নি। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নোদাখালি এলাকার উত্তর বাওয়ালিতে। যদিও পুলিশি হস্তক্ষেপের ঘটনায় যারপরনাই বিরক্ত নাবালিকা কনের বাবা-মা ও আত্মীয় স্বজন।
জানা গিয়েছে, চলতি বছরেই মাধ্যমিক পাশ করেছে মুন্নি (১৬) (নাম পরিবর্তিত)। এর পরেই মাসি সুদীপা অধিকারী বোনঝি মুন্নির বিয়ের উদ্যোগ নেন। তাঁর বাড়ি বিদিরা গ্রামে। সেই মতো পূব পোয়ালির পরিচিত যুবক দেবব্রত দাসের (২৭) সঙ্গে মুন্নির বিয়ে ঠিক হয়ে যায়। মাসখানেক আগে বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ায় আয়োজনে ত্রুটি রাখেনি কনের পরিবারের লোকজন। মঙ্গলবার বিয়ের কাজকর্ম শুরু হতেই নোদাখালি থানায় খবর পৌঁছায়। নাবালিকা কনে বিয়ের পিঁড়িতে বসছে, খবর পেয়েই ব্লক প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে বিয়েবাড়িতে যায় পুলিশ। প্রশাসনের উপস্থিতিতে যারপরনাই বিরক্ত কনের বাড়ির লোকজন। সঙ্গেসঙ্গে হট্টগোল শুরু হয়ে যায়। নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দেওয়া আইনত অপরাধ, কনের বাবা-মাকে একথা বোঝাতে কালঘাম ছোটে প্রশাসনের। পরিস্থিতি আঁচ করে আসরে নামে নোদাখালি থানার পুলিশ। ততক্ষণে মুন্নিকে উঠিয়ে নিয়েছেন পুলিশকর্মীরা। মেয়েকে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ, এই দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের লোকজন। পুলিশের হাত ছাড়িয়ে মেয়েকে ফের পিঁড়িতে বসানোর জন্য ঝোলাঝুলি শুরু হয়ে যায়। তবে তাতে লাভ কিছু হয়নি। যথেষ্ট তৎপরতার সঙ্গে বিয়ে রুখে দেয় পুলিশ। পুনরায় প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে যাতে বিয়েটা সেরে ফেলা সম্ভব না হয়, তার বন্দোবস্তও করে ফেলেন পুলিশকর্মীরা। ১৮ বছর বয়সের আগে মুন্নিকে বিয়ে দিতে পারবেন না। এই মর্মে মুচলেকা দেন কিশোরীর বাবা-মা। তারপর প্রশাসনের তরফে মেয়েকে অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.