Advertisement
Advertisement

Breaking News

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, বছরে ১২০ দিন কাজের ঘোষণা পঞ্চায়েতমন্ত্রীর

অতিরিক্ত ২০ দিনের টাকা দেবে রাজ্য সরকার।

Mamata Banerjee orders 120 days mandatory work scheme
Published by: Suparna Majumder
  • Posted:August 11, 2018 10:41 am
  • Updated:July 29, 2019 12:21 pm

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: মহাত্মা গান্ধী জাতীয় কর্মসুনিশ্চিতকরণ প্রকল্পে কোনও পরিবার বছরে ১০০ দিনের বেশি কাজ করতে চাইলে তা দিতে হবে। কোনও পরিবার বছরে ১২০ দিন কাজ পেলে খুব ভাল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটাই চাইছেন। পূর্ব বর্ধমান জেলাকে সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার বার্তা দিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি জানান, এই প্রকল্পের সঙ্গে কৃষিক্ষেত্রকে সংযুক্ত করারও প্রস্তাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফসল রোপণ করা, ফসল কাটা, ফসলের জন্য জমিতে সেচের নালা কাটা-সহ বিভিন্ন কাজকে সংযুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। লক্ষ্য প্রান্তিক চাষি, ক্ষুদ্র চাষি ও ক্ষেতমজুরদের পাশে থাকা।

শুক্রবার বর্ধমানের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে মহাত্মা গান্ধী জাতীয় কর্মসুনিশ্চিতকরণ প্রকল্পের মাসিক পত্রিকা একশো-১০০-এর প্রথম সংখ্যার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে এসে এমনটাই জানিয়েছেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, কোনও পরিবার ১০০ দিনের জায়গায় ১২০ দিন কাজ করুক। এই অতিরিক্ত ২০ দিনের টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দেবে না। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ওই অতিরিক্ত ২০ দিনের টাকা রাজ্য সরকার দেবে। আর আমি চাই মুখ্যমন্ত্রীর ওই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুক পূর্ব বর্ধমান জেলা। রাজ্যের মধ্যে প্রথম জেলা হিসেবে তারা বছরে ১২০ দিন কাজ দিক। আপনারা কাজ করুন। প্রয়োজনে ১০০ দিনের বেশিই কাজ দিন। রাজ্য পাশে থাকবে।”

Advertisement

[ঝাড়খণ্ড থেকে জঙ্গলমহলে মাওবাদী আনছে বিজেপি, বিস্ফোরক অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর]

Advertisement

পঞ্চায়েতমন্ত্রী এদিন আরও জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী আরও একটি জোরাল প্রস্তাব রেখেছেন এই প্রকল্প নিয়ে। সুব্রতবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী প্রস্তাব রেখেছেন কৃষিকাজের সঙ্গে ১০০ দিনের প্রকল্পকে যুক্ত করতে। আমাদের দপ্তরের অফিসার, মুখ্যমন্ত্রী সকলে মিলে চেষ্টা করছি তার বাস্তব রূপ দিতে। ধান কাটা, ধান রোয়া, ধানে জল দেওয়া, ধানজমির সেচের নালা এই সবকাজকে এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া।” কারণ হিসেবে তিনি জানান, বর্তমানে এই কাজের গুরুত্ব খুবই বেড়ে গিয়েছে। প্রান্তিক চাষি, ক্ষুদ্র চাষিরা এর ফলে উপকৃত হবেন। পাশাপাশি সুব্রতবাবু জানান, এই মুহূর্তে আড়াই লক্ষ স্কিলড লেবারকে স্থায়ী চাকরির ব্যবস্থা করতে পারেন তিনি। তাঁদের চা-বাগান ও জুটমিলে কাজের ব্যবস্থা করতে পারবেন। কারণ এই দুই শিল্পে এখন শ্রমিকের সংকট রয়েছে। তার একটাই কারণ, ১০০ দিনের প্রকল্প।

১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে রাজনৈতিক রঙ না দেখে কাজ দেওয়ারও বার্তা দিয়েছেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী। এই সংকীর্ণতা দূর করে সম্মীলিতভাবে গরীব মানুষকে কাজ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, প্রকল্পের কাজে দুর্নীতি না জড়ানো ও কোনও ভুলত্রুটি হয়ে থাকলে তা সংশোধন করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। দুর্নীতি হলে তা সমাজের পক্ষে ও দেশের পক্ষে ক্ষতিকর হবে বলে জানান মন্ত্রী। এদিন একশো-১০০ পত্রিকা প্রকাশ অনু্ষ্ঠানে ছিলেন রাজ্যের ক্ষুদ্রও কুটিরশিল্প মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু, জেলা শাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব, পঞ্চায়েত দপ্তরের প্রধান সচিব অজিতরঞ্জন বর্ধন, ১০০ দিনের প্রকল্পে রাজ্যের কমিশনার দিব্যেন্দু সরকার প্রমুখ। দিব্যন্দুবাবু পত্রিকার প্রকাশের পর জানান, তাঁরা এই প্রকল্পের মাধ্যমে সম্পদ তৈরিতে গুরুত্ব দিচ্ছেন। আর এই পত্রিকার মাধ্যমে এক জায়গার ভাল কাজ অন্য জায়গার বাসিন্দা, আধিকারিকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে। মন্ত্রী এদিন নির্দেশ দিয়েছেন, একশোয়-১০০ পত্রিকাটি জেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক ও পড়ুয়াদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য।

ছবি- মুকলেসুর রহমান

[প্রয়োজনের কথা মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানান, চাহিদা পূরণের আশ্বাস অনুব্রতর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ