Advertisement
Advertisement

Breaking News

Neel Nirjan Lake

নবরূপে সাজবে নীল নির্জন, বর্ষশেষের গন্তব্য হোক বীরভূমের বক্রেশ্বর

প্রকৃতির মাঝে মন ভাল করার ঠিকানা।

Neel Nirjan Lake near Bakreswar to be developed as a tourism destination
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 7, 2017 8:56 am
  • Updated:May 10, 2019 7:22 pm

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: নীল নির্জন। তাকে ঘিরেই ইকো টুরিজম করার পরিকল্পনা নিল বক্রেশ্বর উন্নয়ন পর্ষদ। যাকে ঘিরে বৃহস্পতিবার বক্রেশ্বরে বিভাগীয় সব দপ্তরকে নিয়ে বৈঠক বসছে উন্নয়ন পর্ষদ। উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা সিউড়ির বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, “প্রায় এক দশক পরে বন্ধ থাকা নীল নির্জনকে নিয়ে ফের স্বপ্ন দেখা শুরু করেছি আমরা। এটা সফল হলে শুধু এই লেকের জন্যই আর বীরভূমের নিসর্গ দেখতে মানুষ নীল নির্জনে আসবে।”

[হুগলি পাড়ে টেমসের ঝলক, ‘সিল্ক রিভার’ উৎসবে মাতবে শহর]

Advertisement

বক্রেশ্বর জলাধারকে ঘিরে দুবরাজপুর ব্লকে গড়ে উঠেছিল নীল নির্জন রিসর্ট। সামাজিক প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্ব হিসেবে বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ২০০৩-০৪ সালে একটি পার্ক গড়ে তোলা হয়। ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে গড়ে উঠেছিল কিছু রিসর্ট। যেটা বীরভূমের মানচিত্রে পর্যটন কেন্দ্রের নতুন ঠিকানা হয়ে উঠেছিল। কিন্তু তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র একবার পার্ক গড়ে দিলেও তার নজরদারির দায়িত্ব কে নেবে তার সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার। ফলে সম্ভাবনা জাগিয়ে অচিরেই তা বন্ধ হয়ে যায়।

Advertisement

07-basu-1

জলাধারের জলে মাছ চাষের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় জেলা। ফের সেই নীল নির্জনকে ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র করার পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা প্রশাসন। কিন্তু সেই জলাধারটি কাদের দখলে আছে তা নিয়ে নিশ্চিত হতেই বৃহস্পতিবার বৈঠক ডেকেছেন উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান। কারন দু’দিন আগেই জেলাশাসক পি মোহন গান্ধীর নির্দেশে জেলা পরিষদের একটি দল নীল নির্জনে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে আসেন। কিন্তু প্রাথমিকভাবে জলাধারটি বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দখলে থাকলেও তার পরের এলাকাগুলি বনদপ্তরের অধীনে। ফলে বন দপ্তরের জমিতে স্থায়ী কোনও আবাসন গড়ে তোলা যাবে না।

[ইতিহাসের সাক্ষী হয়েও উপেক্ষিতই রয়েছে মুর্শিদাবাদের এই দিঘি]

কিন্তু তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জায়গায় রিসর্ট গড়ে তোলা যাবে। যেখানে আমার কুটিরের ‘রাঙা বিতানের’ মতন রিসর্ট গড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হবে। জলাধারের জলে শিকারা সাজিয়ে জলবিহারের সুবিধা গড়ে তোলা হবে। পর্ষদের চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, নীল নির্জন গড়ে উঠলে তারাপীঠ-সহ শান্তিনিকেতন যাওয়ার পথে মানুষ এখানেই সময় কাটিয়ে যাবেন। তাতে তারাপীঠের উপর পর্যটকদের চাপ কমবে। একইসঙ্গে প্রকৃতির বুকে সময় কাটিয়ে বীরভূমের প্রকৃতিকে উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকরা। হেতমপুরের রাজবাড়ি থেকে বক্রেশ্বর ধামে যাওয়ার পথে নীল নির্জন হবে সময় কাটানোর আদর্শ ঠিকানা।

[যে পথে রয়েছে আকাশের ঠিকানা, বরফের হাতছানি…]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ