সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: বয়স নব্বইয়ের কোঠায়। স্বামী প্রয়াত, সন্তান নেই। শিলিগুড়িতে নেতাজির স্মৃতি আঁকড়ে একাকী দিনযাপন করছেন এক প্রৌঢ়া। নিজের বাড়িতে একটি সংগ্রহশালা তৈরি করতে চান তিনি। চান, বাড়ির সামনে বসুক নেতাজির মূর্তি কিংবা স্মৃতিফলক।
[ স্বাধীনতার স্মৃতি আঁকড়ে একাকী দিনযাপন অশীতিপর বিপ্লবীর]
শিলিগুড়ির মাল্লাগুড়ি অঞ্চলে একটিই কাঠের বাড়ি। সেই বাড়িতেই থাকেন অশীতিপর মহাশ্বেতা মহলানবিশ। আসবাবপত্র নয়, বরং বাড়িতে ঢুকলে চোখে পড়বে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু-সহ স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ছবি। মহাশ্বেতাদেবীর দাবি, তাঁর মা অনিতা বসু ছিলেন আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর ভাইঝি। অর্থাৎ বিশ্ববরেণ্য এই বাঙালি বিজ্ঞানী সম্পর্কে তাঁর দাদু। অনিতাদেবী ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। তাঁর এক মাসি আবার থাকতেন সাবেক রেঙ্গুনে। নেতাজিও যে বহুবার রেঙ্গুন গিয়েছিলেন, সেকথা তো সকলেরই জানা। মহাশ্বেতা মহলানবিশ জানিয়েছেন, অনিতা বসুর মাসির বাড়িতেও বেশ কিছুদিন ছিলেন নেতাজি। ‘ত্যাগ ও সেবা ব্যতীত স্বাধীনতা পাব না।’ এই লাইনটি লিখে অটোগ্রাফ দিয়েছিলেন তিনি। নেতাজি লেখা ও সই এখন মহাশ্বেতাদেবীর কাছে। ওই প্রৌঢ়ার ইচ্ছে, মৃত্যুর পর তাঁর বাড়ি যেন একটি সংগ্রহশালা তৈরি করা হয়। বাড়ির সামনে বসানো হয় নেতাজির মূর্তি কিংবা স্মৃতিফলক।
স্বামী চাকরি করতেন শিলিগুড়িতে। সেই সুবাদে এই শহরে আসেন মহাশ্বেতা মহলানবিশ। বহু বছর আগে প্রয়াত হয়েছেন তাঁর স্বামী। এই দম্পতির কোনও সন্তান নেই। শিলিগুড়ির মাল্লাগুড়ি স্বামীর তৈরি কাঠের বাড়িতে এখন একাই থাকেন ওই প্রৌঢ়া। তাঁর দাবি, বাড়িটি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন স্থানীয় প্রোমোটাররা। কিন্তু, বাড়িটি কোনও সহৃদয় ব্যক্তি বা ট্রাস্টকে দিয়ে যেতে চান তিনি। মহাশ্বেতাদেবী চান, তাঁর মৃত্যুর পর এই বাড়িতে তৈরি হোক সংগ্রহশালা। বাড়ির সামনে বসানো হোক নেতাজির মূর্তি কিংবা স্মৃতিফলক।
[ স্বাধীনতা দিবসে সুন্দরবনের ১০০০ পথশিশুকে খাবার বিলি রবিনহুড বাহিনীর]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.