Advertisement
Advertisement

Breaking News

চরম দুর্দশায় বন্ধ তিন রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানার শ্রমিকরা, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি সিটুর

কারখানা বন্ধের পরও বহু শ্রমিক ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন৷

Talking about the plight of the workers, Modi letter to Citu
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 13, 2018 9:17 pm
  • Updated:July 13, 2018 9:17 pm

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়,  দুর্গাপুর: দুর্গাপুরের বন্ধ তিন রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানার শ্রমিকদের অবস্থা শোচনীয়৷ বিনা চিকিৎসায় একের পর এক শ্রমিকের মৃত্যু৷ কারখানা খোলার সম্ভাবনা থাকলেও উদ্যোগী নয় কেন্দ্র৷ আর এই অবস্থায় কারখানা-সহ শ্রমিকদের দুরবস্থার কাথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি পাঠাল সিটু৷

দুর্গাপুরের অন্যতম বৃহৎ রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা মাইনিং এন্ড আ্যলাইড মেশিনারি কর্পোরেশন (এমএএমসি) বন্ধ হয় ২০০২ সালে৷ বন্ধের সময় শ্রমিক সংখ্যা ছিল ৪৪৬৪ জন৷ অপর কেন্দ্রীয় কারখানা ভারত অপথ্যালমিক গ্লাস লিমিটেড (বিওজিএল) বন্ধ হয় ২০০৭ সালে৷ বন্ধের সময় শ্রমিক সংখ্যা ছিল ১৮২ জন৷ রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা হিন্দুস্তান ফার্টিলাইজার কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (এইচএফসিআই) বন্ধ হয় ২০০৩ সালে৷ সেই সময় শ্রমিক সংখ্যা ছিল ১২৫০ জন৷ শ্রমিক মহল্লা আছে অত্যন্ত দুরবস্থায়৷ বহু শ্রমিক কারখানা বন্ধের পরও ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন৷

Advertisement

[পরকীয়া সম্পর্কের জেরে ট্রেনের সামনে মরণ ঝাঁপ যুগলের]

বিওজিএল কারখানার শ্রমিকদের অবস্থা তো আরও করুন বলে সিটুর দাবি৷ এই কারখানার ৪২ জন শ্রমিক বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছেন বলে সিটু দাবি করেছে৷ শ্রমিক আবাসন ভেঙে পড়ছে৷ যে কোনও সময় বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে৷ সংস্কারের কোনও উদ্যোগ নেই৷ সেই অবস্থাতেও শ্রমিকরা আবাসন আগলে পরে আছেন স্রেফ পাওনা পাবেন বলে৷ এই অবস্থায় অসহায় শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন সিটু কেন্দ্রকেই দায়ী করছেন৷ অন্য রাজ্যে বন্ধ হয়ে থাকা এইচএফসিআই কারখানাকে ফের ঘটা করে কেন্দ্র পুনরুজ্জীবিত করলেও পশ্চিমবঙ্গের কারখানা খোলা নিয়ে কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না কেন্দ্র বলে অভিযোগ সিটুর৷ আবার বন্ধ এমএএমসি কারখানা ফের খোলা নিয়ে তিন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে নিয়ে প্রায় বছর দশেক আগে কনসোর্টিয়াম গঠিত করা হলেও তারাও এমএএমসি কারখানা খুলতে ব্যর্থ৷ এই তিন সংস্থার মধ্যে চুক্তির মেয়াদ আগামী দুই বছরের মধ্যে শেষ হয়ে যাচ্ছে৷

Advertisement

[ভালবেসে বিয়ে করেও কেন খুন শুভলগ্নাকে? চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি সুলতানের]

তারপর এই কারখানার ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়েও শঙ্কিত শ্রমিকরাও৷ দুর্গাপুরে বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা পুনরুজ্জীবিত করার কোনও ইচ্ছা কেন্দ্র বা রাজ্য, কেউই এখনও পর্যন্ত দেখায়নি৷ কিন্তু, অন্য রাজ্যে বন্ধ কারখানা খোলার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র৷ এই নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দুর্গাপুরের মহকুমাশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করে সিটু৷ শুক্রবার স্মারকলিপি প্রদান করে সিটুর পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি বিনয়েন্দ্র কিশোর চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কারখানা উঠে গেলেও এখনও বহু শ্রমিক পাওনা থেকে বঞ্চিত৷ বহু শ্রমিক অনাহারে৷ অনেকে বিনা চিকিৎসায় মারাও গিয়েছেন৷ এই রাজ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা খোলা তো দূরে থাক, চালু কারখানাই বন্ধ করে দেওয়ার চক্রান্ত করছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ রাজ্যেরও কোনও উদ্যোগ নেই৷ আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই কারখানাগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করা ও শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা মিটিয়ে দেওয়ার দাবি করছি৷”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ