ছবি: প্রতীকী
পলাশ পাত্র, তেহট্ট: স্বামী ছোট বউকে ভালবাসে। সহ্য করতে না পেরে সতীনকে অ্যাসিড মেরেছিল বড় বউ। অ্যাসিড লেগে যায় স্বামীর শরীরেও। দু’জনকে ভর্তি করা হয়েছিল হাসপাতালে। ঘটনার প্রায় দুই মাস বাদে মৃত্যু হল ছোট বউয়ের। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল নদিয়া জেলায়।
[স্ত্রী থাকতেও যৌনকর্মীকে শ্বশুরবাড়িতে এনে বিপত্তি, যুবককে গণধোলাই]
জানা গিয়েছে মৃতের নাম আরতি মজুমদার। বয়স ৫৮। অভিযুক্ত বড় বউয়ের নাম শেফালী মজুমদার। দু’জনকে নিয়েই থাকতেন আনন্দ মজুমদার। সংসারে নিত্য অশান্তি লেগেই থাকত। বড় বউয়ের ঘোরতর বিশ্বাস ছিল স্বামী ছোট বউকেই বেশি ভালবাসে। আর তা কোনওভাবেই সহ্য করতে পারত না সে। ঈর্ষার বশেই ছোট বউয়ের গায়ে অ্যাসিড ছুড়ে মারে। দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন আনন্দবাবুও। তাঁকে ও তাঁর স্ত্রীকে প্রথমে বেথুয়াডহরি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে পরিস্থিতির অবনতি হলে কৃষ্ণনগরে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সপ্তাহ খানেক আগে আরতিদেবীকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। সেপটিসেমিয়ায় আক্রান্ত হন আরতিদেবী। শুক্রবার ভোররাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
[জাতীয় সড়কে বেপরোয়া ট্রাকের চাকায় পিষ্ট চিতাবাঘ, চাঞ্চল্য বীরপাড়ায়]
দু’মাস আগেই সতীনকে অ্যাসিড ছোড়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল শেফালি মজুমদারকে। আরতিদেবীর মেয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাঁকে। তখন খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু আরতিদেবীর মৃত্যুতে সে মামলার নয়া মোড় নিল। এবার খুনের মামলা দায়ের হতে পারে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে।
[প্রথমবার সন্তানসম্ভবা হলেই এবার থেকে মিলবে টাকা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.