Advertisement
Advertisement

Breaking News

কর্মস্থলে পুরুষদের হাতে রাখি পরাতেই হবে মহিলাদের, সরকারি নির্দেশিকায় বিতর্ক

কোথায় জারি হয়েছে এই নির্দেশিকা?

Daman and Diu administration ‘Rakhi order’ sparks row
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 3, 2017 4:03 pm
  • Updated:July 13, 2018 2:28 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  বঙ্গভঙ্গ রুখতে রাখিবন্ধন উৎসব পালন করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই উৎসবে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই অংশ নিয়েছিলেন সকলে। কিন্তু স্বাধীন ভারতে নির্দেশিকা জারি করে রাখিবন্ধন উৎসব পালন কি বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করা যায়?  এই প্রশ্নকে ঘিরেই এখন তোলপাড় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দমন ও দিউ। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, এই মর্মে জারি এক নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয় প্রশাসন।

[অবিবাহিত মানেই ‘ভার্জিন’, নিদান বিহারের শিক্ষামন্ত্রীর]

Advertisement

ঘটনাটি ঠিক কী?

Advertisement

সম্প্রতি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দমন ও দিউ-তে একটি নির্দেশিকা জারি করেন সেখানকার কর্মীবর্গ দপ্তরের ডেপুটি সেক্রেটারি গুরপ্রীত সিং। নির্দেশিকায় বলা হয়, আগামী ৭ আগস্ট রাখিবন্ধন উৎসব পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। তাই সেদিন সমস্ত দপ্তর ও অফিস খোলা থাকবে। কর্মীদের সমবেতভাবে রাখিবন্ধন উৎসব পালন করতে হবে। মহিলা কর্মীরা, পুরুষ কর্মীদের হাতে রাখি পরিয়ে দেবেন। আর প্রশাসন এই নির্দেশিকা জারি করার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সরকারি কর্মচারীরা। তাঁদের অভিযোগ, সরকার বা প্রশাসন কখনওই নির্দেশিকা জারি করে কর্মচারীদের কর্মস্থলে রাখিবন্ধন উৎসব পালনে বাধ্য করতে পারে না। এই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে সরব হয় স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে শেষপর্যন্ত নির্দেশিকাটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। দমন ও দিউ প্রশাসনের এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, কর্মস্থলে রাখিবন্ধন উৎসব উদযাপন সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এদিকে দমন ও দিউ প্রশাসনের এই আজব নির্দেশিকায় কথা জানাজানি হতেই নেটদুনিয়াতেও সমালোচনার ঝড় ওঠে। টুইটারে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর লেখেন, এই ধরনের নির্দেশিকা হাস্যকর। সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্দেশিকার সমালোচনা সরব হন বহু সাধারণ মানুষও।

[ধর্ষিতার মূত্রপান করার নিদান পঞ্চায়েতের, অপমানে আত্মঘাতী অভিযুক্ত]

প্রসঙ্গত, বুধবার বিহারের পাটনার ইন্দিরা গান্ধী ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স বা IGIMS-র বিবাহ সংক্রান্ত একটি ফর্মকে ঘিরে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। আপনি ভার্জিন?  আপনার কী একাধিক স্ত্রী আছে?  ফর্মটিতে এমনই কিছু আপত্তিজনক প্রশ্ন ছিল বলে অভিযোগ। ফর্মে  এই ধরনের আপত্তিকর প্রশ্নের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন কর্মচারীরা। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, কোনও কর্মী ভার্জিন কিনা বা তাঁর একাধিক স্ত্রী আছে্ কিনা, তার সঙ্গে কর্মদক্ষতার কী সম্পর্ক?  এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় দেশের চিকিৎসামহলে।

[তৎকাল টিকিট কেটে বেড়াতে যাচ্ছেন, এই বিষয়টি জানা আছে তো?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ