সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুগ বদলেছে। পালটেছে চাকরির ধরন। একটা সময় ছিল, যখন দশটা-পাঁচ অফিস করে বাকি সময়টা পরিবারের সঙ্গে কাটানোর সুয়োগ পাওয়া যেত। কিন্তু, এখন আর সে সুযোগ কই? দিনভর কাজের চাপে ব্যক্তিগত বা সামাজিক জীবন বলে আর কিছু থাকে না চাকুরীজীবীদের। এদেশে অনেক বেসরকারি সংস্থায় অবশ্য শিফটিং ডিউটি চালু আছে। কোন কোনও সংস্থার কর্মীরা তো বাড়িতে বসেও কাজ করতে পারেন। কিন্তু, তাতে যে পরিস্থিতির খুব একটা বদল ঘটেছে, এমনটা কিন্তু বলা যাবে না। অথচ বিশ্বের নানা প্রান্তে শুধুমাত্র চাকুরীজীবীদের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য অভিনব আইন রয়েছে। এই প্রতিবেদনে আপনাদের জন্য রইল তেমনই কিছু অভিনব আইনের বৃত্তান্ত।
[হাঁটার গতিই বলে দেবে আপনি কতটা অসুস্থ]
১ কাজের ফাঁকে ‘পড়ার বিরতি’: সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে সরকারি কর্মীদের জন্য এক অভিনব আইন করেছে সেদেশের সরকার। এই আইন অনুসারে, অফিসের কাজে ফাঁকে পছন্দ মতো বই পড়ার জন্য বেশ কয়েক ঘণ্টা সময় দেওয়া হয় সরকারি কর্মীদের।
২ সপ্তাহে তিন দিন ছুটিঃ সরকারি হোক কিংবা বেসরকারি, যেকোনও সংস্থায় কর্মীরা সপ্তাহে একদিনই ছুটি পান। বাকি ছয়দিন কাজ করতে হয়। কিন্তু, আপনি যদি নেদারল্যান্ডসের কোনও সংস্থায় চাকরি করেন, তাহলে আপনি সপ্তাহে তিন দিন ছুটি পাবেন। অর্থাৎ অফিস যেতে হবে সপ্তাহে মাত্র চারদিন!
৩- বাধ্যতামূলক সবেতন ছুটি: সারা বছরে ক্যাসুয়াল লিভ, আর্নড লিভ মিলিয়ে কতগুলি ছুটি পান আপনি? ১২টা, বড়জোর ১৫টা। কিন্তু, জানেন কি, অস্ট্রিয়ায় এইসব ছুটি ছাড়াও শুধুমাত্র পরিবারের লোকেদের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য বছরে ২২ দিনের সবেতন ছুটি দেওয়া হয়? আর যাঁরা ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে চাকরি করছেন, তাঁদের জন্য বছরে আরও ১৩ দিন ‘পেড হলিডে’র ব্যবস্থা থাকে।
৪- যাতায়াতের সময়কেও ‘কাজের সময়’ বলে গণ্য করতে হবে: অফিসের সময়টা না হয় বাদই দিন, রোজ বাড়ি থেকে অফিসে যেতে এবং অফিস থেকে বাড়ি ফিরতে তো দিনের অনেকটা সময় চলে যায়। প্রতিদিন ডিউটি আওয়ার্সের বাইরে এই বাড়তি সময়টাও তো অফিসের জন্যই ব্যয় করতে হয়। সুতরাং যাতায়াতের সময়টাও ডিউটি আওয়ার্স বলে গণ্য করতে হবে। বছর দুয়েক আগে এমনই যুগান্তকারী রায় দিয়েছিল ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিস।
৫- চাকরি হারানোর ভয় নেই: মোট অঙ্কের বেতন। বছর বছর ইনক্রিমেন্ট। সবই ঠিক আছে। কিন্তু, পারফরম্যান্স যদি একটু এদিক-ওদিক হয় বা টার্গেট পূরণ করতে না পারেন, তাহলে বেসরকারি সংস্থার চাকরি হারানোর ভয়ও থাকে ষোলো আনা। পতুর্গালে অবশ্য সেই ভয়টা নেই। কর্তৃপক্ষ যদি কর্মীকে বরখাস্ত করতে চায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্মীকে নির্দিষ্ট অঙ্কের আর্থিক প্যাকেজ দিতে হবে। ওই কর্মী যদি সেই আর্থিক প্যাকেজে সন্তুষ্ট থাকেন, তাহলেই তাঁকে বরখাস্ত করা যাবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.