সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সলিল চৌধুরির যে এমন ক্যারম খেলার নেশা ছিল কে জানত! হাতে স্ট্রাইকার, ঘুঁটিতে মন। তখন যদি কেউ হাতিও গছিয়ে দিতে চাইত, তাই-ই সই। কিংবা হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের দাবার নেশা! সেও সাংঘাতিক। তখন শুটিং-টুটিং সব মাথায়। শুট চলাকালীনই যে তিনি এডিট করে ফেলতেন মনে মনে, তাই বা কে জানতেন! সুরকার আর ডি বর্মনের হাতে ছিল বেশ কয়েকটা আংটি। যেই ভাল কোনও সুর মাথায় আসত, হারমোনিয়ামটা টেনে নিতেন, আর আংটিগুলো ধাপে ধাপে মাথায় ঠেকাতেন।
এমনই সব মুহূর্তরা জমা হয়েছিল মনের মণিকোঠায়। স্মৃতির ঝাঁপি খুলে আপামর বাঙালির সঙ্গে সম্প্রতি তা ভাগ করে নিয়েছেন গুলজার।
[ স্মৃতির ঝাঁপি খুলে কলকাতাকে বাঙালিয়ানা উপহার গুলজারের ]
সংবাদ প্রতিদিন ও দেজ পাবলিশিং-এর যৌথ উদ্যোগে এসেছিলেন শহরে। উপলক্ষ, তাঁর দুটি বইপ্রকাশ। প্রথমবার বাংলায় বই প্রকাশ হল গুলজারের। ‘পান্তাভাতে’ বইটি ভরে উঠেছে এমনই সব স্মৃতিকথায়। অন্যদিকে ‘প্লুটো’ নামের বইটিতে আছে তাঁর কবিতা। যে কবিতায় কোথাও না কোথাও প্লুটোর মতোই ‘বেঘর’ হওয়ার যন্ত্রণা মিশে আছে। বইপ্রকাশ অনুষ্ঠান তো ছুতো। শুধু গুলজারি মুহূর্তের সাক্ষী থাকতেই নন্দনে হাজির হয়েছিলেন প্রায় হাজার দেড়েক মানুষ। আর ঘণ্টা দু’য়েকের আলাপচারিতায়, টুকরো স্মৃতিকথায়, নজমের মুহূর্তে প্রায় ঐশ্বরিক কিছুটা সময় তিনি তুলে দিয়েছিলেন তাঁর ভক্তদের হাতে। কিন্তু তাঁর ভক্ত সংখ্যা যে কম নয়। বহু মানুষ এ সঙ্গ থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন। স্থান অকুলান তার প্রধান কারণ। তবে সেই সব মুহূর্তরা বেঁচে আছে। প্রযুক্তির কল্যাণে চাইলে আবারও তার সাক্ষী থাকা যায়। সে ব্যবস্থাই করল সংবাদ প্রতিদিন ও দেজ পাবলিশিং। পুরো অনুষ্ঠানের ভিডিও থাকল আপনাদের জন্য। এরকম আরও ভিডিওর জন্য অবশ্যই সাবস্ক্রাইব করুন সংবাদ প্রতিদিন-এর ইউটিউব চ্যানেল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.