সন্দীপ চক্রবর্তী: জনসভা শেষ করেই দুর্ঘটনার আহতদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার খড়গপুরে না গিয়ে সোজা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চলে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। দেখা করলেন মোদি জনসভায় দুর্ঘটনায় আহতদের সঙ্গে। তিনটি পরিবারকে ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আহতেরা সকলেই নিম্নবিত্ত পরিবারের। মাথায় আঘাত লেগেছে তাঁদের। অন্যরাও যদি ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করেন, তাহলে তা বিবেচনা করে দেখা হবে।’
{গণপিটুনি ইস্যুতে কেন্দ্রকে আক্রমণ পার্থর]
গত মঙ্গলবার মেদিনীপুর শহরে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কলেজ মাঠে জনসভা করেন তিনি। কিন্তু, জনসভায় যখন ভাষণ দিচ্ছিলে্ন প্রধানমন্ত্রী, তখন মঞ্চের কাছে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে শামিয়ানা। লোহার কাঠামোর আঘাতে জখম হন ৯১ জন। সকলেই ভরতি করা হয় মেদিনীপুরে মেডিক্যাল কলেজে। জনসভা সেরে বিকেলে আহতদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাকীদের ছেড়ে দেওয়া হলেও এখনও হাসপাতালে ভরতি দু’জন। তাঁদের শারীরিক অবস্থা ভাল নয় বলে জানা গিয়েছে। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে। তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও এসপিজির প্রতিনিধিরা।
শুক্রবার খড়গপুরে আইআইটির বার্ষিক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। সমাবর্তন অনুষ্ঠানের জন্য কলকাতা থেকে সড়কপথে খড়গপুর যাচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, গন্তব্যে না গিয়ে, মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় থামে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ও হাসপাতালে। হাসপাতাল গিয়ে মোদির সভায় দুর্ঘটনায় আহতদের সঙ্গে দেখা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা বলেন চিকিৎসক ও হাসপাতালের সুপারের সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, গুরুতর আহত তিনজনকে এককালীন ১ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনতে গিয়ে দুর্ঘটনায় তো আহত হয়েছেন ৯১ জন। তাহলে বাকিরা কী ক্ষতিপূরণ পাবেন না? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘আহতেরা সকলেই নিম্নবিত্ত পরিবারের। তাঁদের মাথায় আঘাত লেগেছে। তাই বাকিরাও যদি ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করেন, তাহলে তা বিবেচনা করে দেখা হবে।’
[স্ক্রুটিনির পরই বদলে গেল উচ্চ মাধ্যমিকের মেধাতালিকা, প্রথম দশে আরও ৪]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.