Advertisement
Advertisement

স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে অহিংসা ও নারী ক্ষমতায়নের বার্তা রাষ্ট্রপতির

জাতিকে জানালেন শুভেচ্ছা।

What President Kovind says on Independence Day eve
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:August 14, 2018 8:59 pm
  • Updated:August 14, 2018 9:05 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তাঁর বক্তব্যে উঠে এল অহিংসার কথা। বললেন, গান্ধীর দেশে হিংসার কোনও স্থান নেই। তিনি ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’-এর নীতিতে বিশ্বাস করতেন।

মঙ্গলবার বিকেলে রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে দেশবাসীকে স্বাধীনতা দিবসের আগাম শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ। বলেন, “তেরঙ্গা আমাদের গর্বের প্রতীক, আমাদের পরিচয়। বহু স্বাধীনতা সংগ্রামীর মৃত্যুর ফসল আমাদের আজকের স্বাধীনতা। ভবিষ্যতে দেশবাসী যাতে শান্তিতে থাকতে পারে, তাই সেই সময় আত্মবলিদান দিয়েছিলেন বিপ্লবীরা। তাঁরা চেয়েছিলেন ভারত স্বাধীন ও সার্বভৌম হোক। সবাই ভাইয়ের মতো মিলেমিশে থাকুক। এই দিনটি ভারতবাসীর কাছে পবিত্র দিন।”

Advertisement

স্বাধীনতা দিবসের আগে উত্তপ্ত শ্রীনগর, তেরঙ্গা ওড়ানোর বিরোধীতা স্থানীয়দের ]

Advertisement

ভাষণ দিতে গিয়ে মহাত্মা গান্ধীর প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। বলেন, হিংসার চেয়ে হাজার গুণে বড় অহিংসা। দেশের বিচ্ছিন্নভাবে প্রায়ই যে গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে, নিঃসন্দেহে তার দিকেই ছিল রাষ্ট্রপতির নিশানা। তিনি বলেন, হিংসা কখনও সমাজে শান্তি আনতে পারে না৷ দেশের উন্নতির জন্য যে মহিলা ও যুব সমাজের যোগদান প্রয়োজন সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। বলেছেন, সমাজে মহিলাদের বিশেষ স্থান রয়েছে। দেশের স্বাধীনতার জন্য আগে মহিলাদের স্বাধীনতা প্রয়োজন। মহিলারা যদি দেশে নিজেদের স্বাধীন না মনে করে, তাহলে এই স্বাধীনতা অর্থহীন। তারা যা করতে চায়, তা করার স্বাধীনতা তাদের থাকা দরকার। যদি মহিলাদের ক্ষমতায়নকে আর্থিক সমর্থন দেওয়া যায়, তাহলে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্বপ্নপূরণ হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

যাত্রী নিরাপত্তার স্বার্থে ৩০১টি ট্রেনের সময়সূচি বদল ভারতীয় রেলের ]

দেশের কৃষকদের অবস্থা নিয়েও কথা বলেন রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ। বলেন, কৃষকরা দেশবাসীকে খাবারের জোগান দেয়। কৃষিক্ষেত্রে যদি আধুনিক প্রযুক্তির প্রবেশ ঘটানো হয়, তাহলে তা দেশের জন্য। কারও ক্ষতিসাধন যেন তাতে না হয়, বা কেউ যেন তা মনে না করে, তা খেয়াল রাখতে হবে। দেশের উন্নতির জন্য সমগ্র দেশবাসীকে এগিয়ে আসতে হবে। বেকারত্ব হটাতে ও শিক্ষাক্ষেত্রকে আরও উন্নতি করতে চেষ্টা করছে ভারত। খুব তাড়াতাড়িই এই সমস্যার সুরাহা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। মহাত্মা গান্ধীর আদর্শের গভীরতা বোঝা উচিত। বলেন, “তিনি ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’-এর আদর্শে বিশ্বাস করতেন। দেশবাসীর সেই রাস্তাতেই এগোনো উচিত। আমরা যাতে অন্য দেশকে তাদের বিপদে সাহায্য করতে পারি।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ