সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রোজ অশান্তি। একটু এদিক থেকে ওদিক হলেই চিৎকার। গায়ে হাত পর্যন্ত তুলেছে। চোখের নিচের কালো দাগ রোদচশমাও ঢাকতে ব্যর্থ। এত অত্যাচার কেন সইছে মেয়েটা। এমন মেয়েরাই বা অত্যাচার সহ্য করে অত্যাচারী স্বামী কিংবা প্রেমিকের সঙ্গে থাকে কেমন করে? বিশেষজ্ঞদের মতে-
আশা- একটু হয়তো বদমেজাজি। সময় গেলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। ক্ষমা চেয়ে নেবে। এই ভেবেই বেশিরভাগ মহিলা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করে।
সামাজিক সম্মান- এই কারণই যাবতীয় নষ্টের মূল। লোকে কী বলবে! এই ভেবেই বেশিরভাগ মহিলা দিনের পর দিন অত্যাচার সইতে থাকে। সমাজবদ্ধ প্রাণী হওয়ার মূল্য চোকাতে থাকে।
সন্তান- প্রেমিক কিংবা স্বামীকে ছেড়ে দিলে সন্তানের কী হবে? তার জীবনে প্রভাব পড়তে। ভালভাবে মানুষ হবে না। এই ভাবনাই মহিলাদের সম্পর্কের চক্রব্যূহে আটকে রাখে।
[সামনেই বিয়ে, ফিগার ঠিক রাখতে এগুলো করেছেন কি?]
অপরিণত- ও তো ওরকমই! এখনও তেমন পরিণত হয়নি। বয়স আরেকটু বাড়লে সবকিছু বুঝতে শিখবে। তখন আর এরকম করবে না। এই আশাতেই অত্যাচারী সঙ্গীর সঙ্গে থেকে যান অনেকে।
আধিপত্য প্রবণতা- ভালবাসা ও আধিপত্য প্রবণতার মধ্যে একটা পার্থক্য রয়েছে। সেটা অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না। স্বামী কিংবা প্রেমিক সবকিছুতে নাক গলালেও তাঁকে প্রেম মনে করেন। এই ভুল ধারণাতেই অনেকে তিক্ত সম্পর্কেই থেকে যান।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জোর করে কোনও সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চেষ্টা বৃথা। প্রয়োজনে কাছের মানুষদের বিশেষ করে মা-বাবাকে সমস্ত কিছু জানানো উচিত। অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিতে দ্বিধাবোধ করা উচিত নয়। জীবন একটাই। নিজের মতো করে বাঁচুন। ভালবাসার নামে অত্যাচার একদম বরদাস্ত করবেন না। যত কাছেরই সম্পর্ক হোক না কোন, তা থেকে সাহস করে বেরিয়ে আসুন। তবেই জীবনের আসল মূল্য বুঝতে পারবেন।
[ঋতুস্রাবের সময় মন্দিরে কেন ঢোকা যায় না? জেনে নিন বিজ্ঞানসম্মত কারণ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.