Advertisement
Advertisement

পুজোর আগে বদলে ফেলুন চুলের স্টাইল, থাকল টিপস

চুলের যত্ন নিন।

Must follow tips for blowing hair this puja
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 9, 2017 2:32 pm
  • Updated:July 11, 2018 4:29 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুজোর আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ত্বকের পাশাপাশি দরকার চুলের পরিচর্যাও। পুজোর এবার বৃষ্টিরও সম্ভাবনা আছে। শোনা যাচ্ছে, বর্ষা বিদায় নিতে নিতে নাকি সেই অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ। তাই ক্যালেন্ডারের পাতায় এখন শরৎকাল হলেও আবহাওয়া বর্ষাকালের মতো এবং পুজোর জন্য চুলের যত্ন বর্ষা অনুযায়ীই নিতে হবে। কারণ বর্ষাজনিত চুলের সমস্যা থাকবেই–যেমন, চুল পড়া, চুল নিষ্প্রভ হয়ে যাওয়া, খুশকি হওয়া বা বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি। তা এসব এড়াতে কী করবেন?

  • যাঁদের চুল খুব পাতলা বা ফাইন টেক্সচারের, তাঁরা প্রথমেই চুলে একটা উপযোগী কাট দিন। আপনার মুখের সঙ্গে এবং পোশাকের সঙ্গে মানানসই হেয়ার কাট করুন। এতে চুলে একটু ভলিউম আসবে। চুল ততটা পাতলা লাগবে না।
  • হেনা করা যেতে পারে। এতে চুল পড়ার সমস্যা থাকলে কমবে। পাতলা চুল বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হেয়ার ফলের কারণেই হয়। হেনার সঙ্গে একটা ডিম, অল্প দই মিশিয়ে নিন। এতে চুল অনেক পুষ্টি পাবে।
  • খুব ড্রাই হেয়ার হলে হেনা বেশি না করাই ভাল। কারণ হেনা করলে চুল সামান্য শুষ্ক হয়। যদি করতেই হয়, তবে ওর মধ্যে একচামচ তেল মিশিয়ে নিন।
  • হেনা খুব ভাল কন্ডিশনার। চুলের কন্ডিশনিং খুব ভাল হয়।
  • হেয়ার সিরাম অবশ্যই ব্যবহার করুন। কারণ সিরাম চুলকে দূষণ থেকে রক্ষা করে।
  • প্রফেশনাল প্যারাবেন ফ্রি শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
  • স্পা করতে পারেন পুজোর আগে অন্তত দু’বার। এতে চুলের টেক্সচার ভাল হবে। চুল নরম, কোমল ও  উজ্জ্বল হবে।
  • এই আবহাওয়াতে চুল একটু উসকোখুসকো থাকে। এক্ষেত্রে নারকেলের দুধ ব্যবহার করা যেতে পারে চুলে।
  • চুলের পুষ্টির জন্য নারকেল তেলে কারিপাতা ফুটিয়ে নিন। ছেঁকে নিয়ে চুলে ভাল করে ম্যাসাজ করুন সপ্তাহে অন্তত দু’দিন।
  • আমলকী নারকেল তেলে ফুটিয়ে ভাল করে ছেঁকে মাথায় ম্যাসাজ করুন। এতে চুলের গোড়া শক্ত হবে।
  • চুল খুব ড্রাই হলে অলিভ অয়েল আর ডিম মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে নিন। এতে চুলের রুক্ষতা কমবে।
  • মাথার ত্বকেরও এক্সফোলিয়েশন জরুরি। এক্ষেত্রে অল্প খাওয়ার নুন নিয়ে মাথায় হালকা হাতে ঘসুন কিছুক্ষণ, তারপর শ্যাম্পু করে নিন।
  • পুজোর আগে অনেকে চুল নিয়ে নানা এক্সপেরিমেন্ট করেন। একটু নিজেকে পাল্টাতে চান। হেয়ার কাটিং ছাড়া, কেমিক্যাল ট্রিটমেন্টও করান চুলে। যদি কেউ তা করতে চান, তবে এখনই সঠিক সময়। কিছুদিন আগে কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট করানোই ভাল।

[এই পুজোয় বঙ্গতনয়াদের বিভাজিকায় সাঁতার কাটবে নীল তিমি]

Advertisement

straighthair3-759x600

Advertisement

 

কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট এখন ইন। যেমন পার্মি, স্ট্রেটনিং,  কেরা স্মুদ,  কালারিং–যাই করুন না কেন,  কেমিক্যাল ট্রিটমেন্টের পর চুলের যত্ন খুব জরুরি,  কারণ এগুলোর ফলে চুল ড্রাই হয়ে যায়।

পার্মিং

পার্মিং হল চুল কার্ল করা। পার্মিং করলে চুল ঘন লাগে। বয়স হলে অনেকের চুল পাতলা হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে পার্মিং করলে চুল পাতলা লাগে না। কার্ল করলে নিয়মিত শ্যাম্পু,  কন্ডিশনার,  সিরাম খুব জরুরি। হেয়ার মাস্ক খুব উপযোগী কার্লি হেয়ারের জন্য। পার্মিং করার পর চুল চিরুনি দিয়ে আঁচড়ালে চলবে না,  আঙুল দিয়ে ভেজা চুল শুকিয়ে নিয়ে সেট করতে হবে। ড্রায়ার দিয়েও শুকোতে পারেন। ড্রায়ারে ডিফিউজার লাগানো থাকলে ভাল, এতে চুলের কার্ল ভাল করে সেট করা যায়।

স্ট্রেটনিং

স্ট্রেটনিং হল পোকার স্ট্রেট। এর একটা আর্টিফিশিয়াল লুক থাকে।

স্মুদনিং

এটা হল আর্টিফিশিয়াল ভাবে স্ট্রেট না করে নর্মাল পদ্ধতিতে স্ট্রেটনিং করা। এতে ন্যাচরাল বাউন্স থাকে।

কেরা স্মুদ

এই স্মুদনিং—এর ক্ষেত্রে চুলের গঠনগত কোনও পরিবর্তন হয় না। নিজের যা চুলের ধরন, সেই অনুযায়ী চুল রেখে স্টাইল করা হয়। কেরা স্মুদ করলে যার যেমন চুল, তেমনই থাকে, শুধু দেখতে সুন্দর লাগে।

[পুজোর আগে ঝকঝকে ত্বক চাই? মেনে চলুন কিছু টিপস]

kangana-ranaut-4801

  • টেম্পোরারি কিছু হেয়ার স্টাইল রয়েছে। কেউ যদি পার্মানেন্ট স্টাইলিং না চান, তাৎক্ষণিকভাবে করতে পারেন। যেমন, আয়রনিং এবং ব্লো ড্রাই। আয়রনিং—এর মাধ্যমে চুল স্ট্রেট করা যায়। জল পড়লে আবার চুল আগের অবস্থায় ফিরে আসে।
  • ব্লো ড্রাই—তে ড্রায়ার ও ব্রাশ দিয়ে চুল সেট করা হয়। এছাড়া নানারকম রোলার রয়েছে, যা দিয়ে নানারকম ভাবে চুলের কার্ল সেটিং করা যায়।
  • কালার দু’ভাবে করা হয়। একটা পাকা চুল রং করা, আর এক ধরনের কালার হয় যেটা হল ফ্যাশন কভারেজ অর্থাৎ কালো চুলেই নানারকম পছন্দসই রং করা– গ্লোবাল কালার, হাইলাইট,  লো লাইট,  কালার প্লেসমেন্ট।
  • গ্লোবাল কালারে পুরো চুল রং করা হয়। হাইলাইটের ক্ষেত্রে চুলের যা রং, তার তুলনায় হালকা শেড দিয়ে চুলের গোছা তুলে রং করা।
  • লো—লাইট হল যা চুল, তার গাঢ় রং দিয়ে চুল কালার করা।
  • কালার প্লেসমেন্ট হল চুলে একটা গ্লোবাল কালার করার পর কয়েকটা রং দিয়ে স্ট্রিকিং করা।
  • কেউ শুধু পুজোর দিনগুলোর জন্য টেম্পোরারি কালার করতে চাইলে করতে পারেন। সেমি পার্মানেন্ট কালারও হয়, যা চুলে দু’তিনমাস থাকে।
  • তবে কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট যেটাই করুন না কেন। প্রফেশনাল শ্যাম্পু,  কন্ডিশনার,  সিরাম,  মাস্ক ব্যবহার করুন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ