Advertisement
Advertisement

Breaking News

পাহাড়, জলপ্রপাতে ঘেরা অপরূপ বুদ্ধ-মূর্তি

হাতে দু-একদিনের ছুটি, তাই আমাদের গন্তব্য রাঁচি৷ এই ট্যুরের অন্যতম আকর্ষণ অলখঝোরা-র উদ্দামতা উপভোগ করতে হলে ভুলে যেতে হবে সহস্রাধিক সিঁড়ি ভাঙার ক্লান্তি৷

Tourism - ranchi
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 18, 2016 7:43 pm
  • Updated:February 28, 2019 5:16 pm

মহসীন দরগাই: পাহাড়-টিলা বেষ্টিত প্রপাতময় পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডের শহর রাঁচি৷ ছোটখাট ভেকেশনের জন্য আদর্শ৷ হাতে দু-একদিনের ছুটি, তাই আমাদের গন্তব্য রাঁচি৷ এই ট্যুরের অন্যতম আকর্ষণ অলখঝোরা-র উদ্দামতা উপভোগ করতে হলে ভুলে যেতে হবে সহস্রাধিক সিঁড়ি ভাঙার ক্লান্তি৷

রক গার্ডেন দিয়ে শুরু করলে মন্দ হবে না৷ হন্টেড হাউস, নানা ধরনের রাইড দিয়ে সাজানো সুন্দর এক পার্ক৷ বাচ্চাদের জন্য আদর্শ৷ তারপর চলে যান সুউচ্চ টিলার ওপর সাঁইবাবার মন্দির ও জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত মোরাবাদি, যাকে টেগোর হিলও বলা হয়৷ রাঁচি-টাটা জাতীয় সড়ক ছেড়ে ‘দশম ফল্স’-এর লিঙ্ক রোড ধরে খানিক এগোতেই উধাও হয়ে যাবে লোহা-কংক্রিটের ইমারত৷ শুরু হয় ভরপুর অক্সিজেন সমৃদ্ধ নির্মল বাতাস৷ অদূরেই তরঙ্গায়িত টিলার সারি, সবুজে ছয়লাপ গাছগাছালিতে ঘেরা নজরকাড়া ট্র্যাডিশনাল আদিবাসীদের জনপদ পেরিয়ে পৌঁছতে হবে দশম প্রপাতের গেটে৷ প্রায় চারশো পাথরের সিঁড়ি ভেঙে নীচে নামতেই জুড়িয়ে যায় চোখ দু’টো৷ কাঞ্চি নদী দশটি ধারায় ঝাঁপ দিয়েছে দেড়শো ফুট নিচে৷ ফিরতি পথে সিঁড়ির ধারে যে পাহাড় চোখে পড়বে, তার নাম ‘কারাকুম বুরু’৷

Advertisement

false

Advertisement

এরপরের গন্তব্য জোনা ফল্স৷ পুরুলিয়া সড়ক থেকে লিঙ্ক রোড ঠেকেছে জোনার গেটে৷ উঁচু প্রায় পাঁচশো আঁকাবাঁকা সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে হবে এখানে৷ যেন পাতালে প্রবেশ৷ তারপরই চমক৷ গৌতমধারী নদী পাঁচটি প্রবাহে পাথরের প্রাচীর বেয়ে আছড়ে পড়ছে দেড়শো ফুট নিচে৷ ত্রয়ী ঝরনার মধ্যে জোনা ফল্সের বিস্তার ও বেগ বেশি, সঙ্গে গর্জনও৷ গুড়ি গুড়ি জলকণাসমূহ সূর্যের সাত রং মেখে ফোয়ারার মতো উড়ছে আনন্দে৷ কিনারায় অপরিসর গুহায় রয়েছে পরিচিত ধ্যানস্থ বুদ্ধের মূর্তি৷ ওপরে প্রাচীন বৌদ্ধ প্রতিষ্ঠান৷ গৌতমবুদ্ধের স্মরণে এই পাহাড়-নদী-ঝরনার নামকরণ গৌতম যোগ৷

rock

পরের দিন চলে যান বিখ্যাত হুড্রু ফল্স দেখতে৷ সাড়ে সাতশো পাকদণ্ডী সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামা৷ তবে হুড্রু-র সেই সাবেক সুখ্যাতির কিছুই আর অবশিষ্ট নেই৷ ১০০ ফুটের বিস্তার, বিপুল জলরাশির তীব্র বেগে পতন-গর্জন সহ গর্জাস গরিমা ও দাপট এখন অতীত৷
কীভাবে যাবেন
হাওড়া স্টেশন থেকে হাওড়া-রাঁচি হাতিয়া এক্সপ্রেস অথবা হাওড়া শতাব্দী এক্সপ্রেস৷ সড়কপথেও যাওয়া যায়৷
কোথায় থাকবেন
রাঁচি জংশন সংলগ্ন অজস্র লজ, হোটেল রয়েছে থাকার জন্য৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ