Advertisement
Advertisement

Breaking News

সস্তার কেতাদুরস্ত জুতো পরেন? স্পন্ডিলোসিস ডেকে আনছেন না তো!

সস্তার জুতোয় লুকিয়ে বড় বিপদ!

Wearing cheap shoes can cause serious health issue
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 4, 2018 8:54 pm
  • Updated:July 11, 2018 4:27 pm

গৌতম ব্রহ্ম ও অভিরূপ দাস: ধর্মতলা থেকে সস্তায় হাই হিল কিনেছিল সুকন্যা। কম দামে কেতাদুরস্ত জুতো কিনে সহপাঠীদের কাছ থেকে বাহবা কুড়িয়েছিল। কিন্তু মাস তিনেক পর থেকেই প্রচণ্ড পিঠে ব্যথা। একই অবস্থার গড়িয়ার অরিত্রিকেরও। কলেজ জীবন থেকেই পয়সা বাঁচিয়ে পদ্মপুকুরের জুতো কেনা তার অভ্যাস। কে জানত সেই অভ্যাসের বশেই ভার্টিগো হবে উঠতি বয়সে। মাত্র আঠাশেই গলায় বসেছে, ‘নেক-কলার’। সুকন্যা বা অরিত্রিক একা নন, এ শহরে সস্তার জুতো কিনে বিপাকে পড়ছেন অনেকেই।

[কমপিউটার, মোবাইলে এক নাগাড়ে তাকিয়ে চোখের সর্বনাশ করছেন]

Advertisement

মেরদণ্ডে দীর্ঘদিন ধরেই অতিরিক্ত চাপ পড়লে, স্পন্ডিলোসিস হয়। তবে হাঁটাচলার ভুল ব্যাকরণও এই রোগের অন্যতম কারণ। এমনই মত চিকিৎসকদের। রাস্তাঘাটে আর খালি পায়ে আর কেইবা হাঁটে! তাই স্পন্ডিলোসিস থেকে বাঁচতে জুতোর ভূমিকাও কিছু কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সস্তার জুতো যেমন তেমন করে বানানো হয়। আদতে তা স্রেফ পা ঢাকার আস্তরণ ছাড়া আর কিছুই নয়। ব্র‌্যান্ডেড দামি জুতোর তলায় ‘শক অ্যাবজরভার’ থাকে। যা মেরুদণ্ডকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে। হাঁটার সময়ে প্রত্যেকের শরীর একটি বিশেষ ভঙ্গিতে ওঠা-নামা করে। জুতোর তলায় শক অ্যাবজরভার না থাকলে হাঁটতে গেলে শিরদাঁড়ায় চাপ পড়ে। যা থেকেই প্রাথমিক ভাবে ব্যথার শুরু।

Advertisement

[৪০-এ থাকতে চান তরতাজা? মেনে চলুন এই নিয়ম বিধি]

ইঁদুর দৌড়ের এই যুগে দোকানে গিয়ে দেখেশুনে জুতো কেনার আর সময় কই! তাই বাড়িতে বসে অনলাইনে কেনাকাটা করেন চাকুরীজীবী থেকে কলেজ পড়ুয়া সকলেই। সেই জুতো যে আবার খুব দামি হয়, এমনটাও নয়। বরং সস্তায় হাল ফ্যাশনের স্টাইলিশ জুতোই প্রথম পছন্দ। বিশিষ্ট অস্থিরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ গৌতম সাহা অবশ্য বলছেন, ‘প্রশ্নটা সস্তা বা দামি জুতোর নয়। দামি জুতোর সোলের নকশা যদি অবৈজ্ঞানিক হয় সেখানেও সমস্যা হবে। আসলে জুতো হচ্ছে একধরনের বাক্স। যার মধ্যে পা রাখা থাকে। সামনের দিকটা ‘টো বক্স’। যাতে আঙুল রাখা থাকে। এই অংশটি চাপা হলে ‘ক্রাউডিং অফ টোজ’ হবে। অর্থাৎ একটি আঙুল আরেকটি আঙুলের উপর উঠে থাকবে। সেই অবস্থায় শরীরের ওজন পায়ের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিক্ষারক।‘ শরীরের একটা বড় অংশের ওজনের ভার বহন করে গোড়ালি। তাই গোড়ালি নিচে জুতোয় শক অ্যাবজরভার না থাকলে ‘প্ল্যান্টার ফ্যাসাইটিস’ হতে পারে। হাই হিল থেকে জন্ম নিতে পারে রেট্রো ক্যালক্যানিয়াল এক্সোসটোসিস বা হিলস স্পার অসুখ। এরকম আরও কয়েক গণ্ডা অসুখ আছে, যার উৎস লুকিয়ে জুতোয়। জুতোয় কোনও সমস্যা হলে প্রথমে পায়ের পাতা এবং গোড়ালিতে ব্যথা হয়। এটাই ‘ফার্স্ট অ্যালার্ম’। পাত্তা না দিলেই শরীর ‘কম্পেনসেটারি মেকানিজম’ প্রয়োগ করে সেই ব্যথাকে শরীরের অন্যত্র ছড়িয়ে দিয়ে গোড়ালি বা পায়ের পাতাকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে। সেই ব্যথা হাঁটুতে, কোমরে, ঘাড়ে কোথায় ছড়িয়ে পড়বে, তার কোনও গতে বাঁধা ফর্মুলা নেই।তাই কেতাদুরস্ত জুতো কিনুন, তবে সাবধানে। সস্তা কিনতে গিয়ে শরীরের বারোটা বাজাবেন না।

[বিশ্বের দীর্ঘতম আইসক্রিম নাম লেখাল গিনেস বুকে, কত দৈর্ঘ্য জানেন?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ