সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘আকাশে ছড়ানো মেঘের কাছাকাছি, দেখা যায় তোমাদের বাড়ি…।’ শুধু গানে নয়, বাস্তবেও একথা সত্যি করে দেখিয়েছেন দেশি-বিদেশি ইঞ্জিনিয়ররা। দুবাই, চিনে তৈরি হয়েছে আকাশছোঁয়া বাড়ি। কিন্তু এবার বিশ্বের দীর্ঘতম (উচ্চতম নয় কিন্তু) অট্টালিকার ঠিকানা হতে চলেছে নিউ ইয়র্ক। এখানেই তৈরি হতে পারে প্রায় ৪০০০ ফুট দীর্ঘ ‘বিগ বেন্ড’।
‘বিগ বেন্ড’-এর উচ্চতা নয়, আন্তর্জাতিক মহলের নজর কেড়ে নিয়েছে এই অট্টালিকার কাঠামো। অন্যান্য বহুতলের চেয়ে ঢের লম্বা এই অট্টালিকার নকশা দেখলে মনে হবে, মাটি থেকে অট্টালিকাটি শুরু হয়ে উপরে গিয়ে আচমকাই যেন বেঁকে ফের মাটিতে নেমে এসেছে। অনেকটা ইংরেজিতে উল্টানো ‘ইউ’ অক্ষরের মতো। এই ভবনটি নির্মাণের নকশা এঁকেছে মার্কিন আর্কিটেকচারাল স্টুডিও ওয়িও। চূড়ান্ত ছাড়পত্র মিললেই শুরু হয়ে যাবে নির্মাণকাজ। নকশা প্রস্তুতকারক সংস্থার দাবি, আজব দর্শন ও বিলাসবহুল অট্টালিকার প্রতি ম্যানহাটানের বাসিন্দাদের একটা আলাদা রকমের দুর্বলতা রয়েছে। সে কথা মাথায় রেখেই নয়া ভবনটির নকশা তৈরি হয়েছে।
নির্মাতাদের দাবি, বহু দূর থেকে দেখতে পাওয়া যায় বা হঠাৎ দেখলে চমকে উঠতে হয়- এমন অট্টালিকার চাহিদা রয়েছে এই অভিজাত এলাকায়। তবে এত বড় ভবনটি নির্মাণের জন্য ছাড়পত্র পেতেও কালঘাম ফেলতে হবে। মার্কিন রয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীরা চিনের আদলে আমেরিকাতেও নয়া জমি আইন চাইছেন। একটি ছোট জমির উপর অত্যাধিক উঁচু ভবন নির্মাণের জন্য ছাড়পত্র পাওয়া সে দেশে সহজ নয়। অথচ বেজিং বা দুবাইতে এই আইন অনেকটাই লঘু। আমেরিকাতে জমি আইন খানিকটা লাঘব হলে, দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা বা চিনের শাংহাই টাওয়ারের চেয়েও উঁচু অট্টালিকা নির্মাণ সেখানে তৈরি করা সম্ভব, এমনটাই বলছেন ব্যবসায়ীরা।
তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ধনীদের ডলার ক্রমশই যেন শহরটাকে গিলে ফেলছে। উঁচু উঁচু অট্টালিকার ছায়া গ্রাস করে ফেলেছে সেন্ট্রাল পার্কের অনেকটা অংশকে। নিউ ইয়র্কে ৩০০-৬০০ মিটার উচ্চতার প্রচুর অট্টালিকা রয়েছে। তবে সে সব বহুতলকে দশ গোল দেবে ‘বিগ বেন্ড’। কারণ, তার দৈর্ঘ্য হবে ১২০০ মিটার। তবে এই অট্টালিকা তৈরির আগে সবদিক আরও ভাল করে খতিয়ে দেখে নিতে চাইছেন নির্মাতারা। এক একটি ঘরের দাম, প্রতি বর্গফুট জমির দাম, বায়ুর চাপ, লিফট ঠিকমতো কাজ করবে কি না- সে সব দেখে তবেই পরবর্তী ধাপে এগোতে চাইছেন নির্মাতারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.