সুকুমার সরকার, ঢাকা: ফুটবল আর ইলিশ। বাঙালির কাছে একটি ধর্ম, আরেকটি প্রেম। চলতি মাসেই দুইয়ের সহযোগে বাংলাদেশে চরমে উন্মাদনা। এখনও বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায়নি বাংলাদেশ। তবে তাতে কী! বিন্দুমাত্র ভাঁটা পড়েনি উন্মাদনায়। বিশ্বকাপে না থেকেও থাকছে বাংলাদেশ। ফুটবলের মহাতারকাদের অনেকেই ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ জার্সি গায়ে চাপিয়েই মহারণে নামবেন। ফলে প্রকারান্তরে না খেলেও মাঠে থাকছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে বর্ষার আগমনে রসনার তৃপ্তিতে রয়েছে ইলিশ। দুইয়ের যুগলবন্দিতে পোয়াবারো বাঙালির।
[মেসি-নেইমার গোল করলেই ক্ষুদার্ত শিশুদের মুখে খাবার তুলে দেবে এই সংস্থা]
ইংল্যান্ড-সহ অনেক দেশের জার্সি তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের পোশাক কারখানায়। তা গায়ে চাপিয়েই মাঠে নামবেন তারকারা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ইংল্যান্ড দলের জার্সি তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের সাভারের একটি পোশাক কারখানায়। বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দেশগুলির মধ্যে সব থেকে দামি পোশাক ইংল্যান্ড দলেরই। তবে প্রদীপের তলার অন্ধকারের মতোই এক্ষেত্রেও রয়েছে একটি কালো অধ্যায়। অভিযোগ, বহুমূল্য পোশাকগুলি যাঁরা তৈরি করেন তাঁদের হাড়ভাঙা খাটুনির ন্যায্যমূল্য আজও দেওয়া হয় না। ইংল্যান্ড দলের জার্সি তৈরি হয়েছে ইপিজেড এলাকার কারখানায়। সেখানে শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি মাত্র ১.৬৮ ইউরো বা ১৬৪ টাকা। বিশ্বখ্যাত স্পোর্টস ব্র্যান্ড নাইকি বাংলাদেশ থেকে তৈরি করে নেয় জার্সিগুলো। জাতীয় দলের প্রয়োজন মিটিয়ে বাকি পোশাকগুলি চড়া দামে বাজারে বিক্রি করে সংস্থাটি। একটি জার্সির দাম ১৬০ ইউরো বা ১৫,৬২১ টাকা। অথচ যাঁরা পোশাকটি তৈরি করেন তাঁদের ভাগ্যে জোটে নামমাত্র মজুরি।
একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, সাভারের ওই পোশাক কারখানায় মূলত মহিলা শ্রমিকরা কাজ করেন। প্রতি সপ্তাহে তাদের ৬০ ঘন্টা করে শ্রম দিতে হয়। ২০১৬ সালে ইংলিশ ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে ৪০০ মিলিয়ন ইউরোর চুক্তি করে নাইকি। তারপর থেকেই নাইকি নামমাত্র মূল্যে জার্সি বানিয়ে চড়া দামে বিক্রি করছে। জার্সি বানানোর জন্য শ্রমিকদের যে পারিশ্রমিক দেওয়া হয় তাতে ন্যূনতম চাহিদাই পূরণ করা সম্ভব না। ইংল্যান্ডের রাজনৈতিক দল লেবার পার্টির একজন এমপি জো স্টিভেনসেন্স এই অভিযোগে তদন্ত দাবি করেছেন। সব মিলিয়ে ফুটবলের উন্মাদনার মধ্যেও কথাও যেন কাঁটা হয়ে থাকছে খেটে খাওয়া মানুষের আর্তি।
[আজব কাণ্ড নাইজেরিয়ার ফুটবলারের, শেহবাগের পরামর্শ শুনে হেসে খুন নেটিজেনরা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.