সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভেদ মাতৃশক্তি। একই অঙ্গে লীন হয়ে আছেন সকল দেবী। যিনি তারা, তিনিই জগদ্ধাত্রী। এই উপলব্ধি থেকে তারা অঙ্গেই মাতৃ আরাধনার আয়োজন তারাপীঠে। মাকে ডাকের সাজে সাজিয়ে তুলেই জহদ্ধাত্রী অর্চনা বামাক্ষ্যাপার সাধনক্ষেত্রে।
[ জগদ্ধাত্রী আরাধনাতেই গুপ্তিপাড়ায় যাত্রা শুরু বাংলার প্রথম বারোয়ারির ]
প্রথা অনুযায়ী, তারাপীঠে একমাত্র পূজিতা দেবী মা তারা। আর কোনও মৃণ্ময়ী মূর্তিরই উপাসনা হয় না সেখানে। কিন্তু অন্যান্য মাতৃশক্তির পুজোও যে হয় না, তা নয়। ভক্তের বিশ্বাস, মা তারার মধ্যেই লীন হয়ে আছেন সকল দেবীশক্তি। মাতৃশক্তি এক ও অদ্বিতীয়। তার কোনও বিচ্ছিন্নতা নেই। রূপ কল্পনায় তা আলাদা আলাদা হতে পারে বটে। সেরকমই পুজোর রীতি গোটা বাংলায়। দুর্গা ভক্ত রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের বদান্যতাতেই জগদ্ধাত্রী পুজো জনপ্রিয়তা পায় বাংলায়। বন্দি রাজা দুর্গাপুজো করতে পারেননি। খেদ থেকে গিয়েছিল মনে। পরে মায়ের স্বপ্নাদেশে জগদ্ধাত্রী রূপে পুজো করা শুরু করেন তিনি। কৃষ্ণনগর থেকে কালে কালে এই জগদ্ধাত্রী পুজোর রীতির সম্প্রসারণ ঘটেছে গোটা বাংলায়। আলাদা করে নাম হয়েছে চন্দননগরেও। তবে তারাপীঠের জগদ্ধাত্রী পুজো এই রেওয়াজের নিরিখে বেশ অন্যরকম। মাতৃ সাধনার ক্ষেত্র তারাপীঠ। এখানে তাই মা তারাকেই জগদ্ধাত্রী রূপে কল্পনা করে আরাধনার আয়োজন করা হয়। এ প্রথাও আজকের নয়। দীর্ঘকাল ধরে তারা মূর্তিকে সামনে রেখেই কালী, দুর্গা, জগদ্ধাত্রী, সরস্বতী-সহ সকল দেবীর অর্চনা করা হয়ে থাকে।
[ রাজবাড়ি থেকে ১১ টাকা গেলেই পুজো শুরু হয় মালোপাড়ায় ]
দেবী জগদ্ধাত্রীর আরাধনায় মা তারাকে সাজিয়ে তোলা হয় ডাকের সাজে। তারা অঙ্গেই পূজিতা হবেন জগদ্ধাত্রী। তাই সকালে স্নানের মঙ্গলারতি। সন্ধ্যারতির পর মাকে ভোগ নিবেদন করা হয়। এরপর গভীর রাতে দেবীকে জগদ্ধাত্রী জ্ঞানে পুজো অর্চনা করা হয়। বিশেষ এই পুজো উপলক্ষে মায়ের দু-বার অন্নভোগের রীতি আছে। নিশিভোগে বিশেষ ভাবে থাকে খিচুড়ি ও বিভিন্ন রকম ভাজা। এই ভোগ নিবেদনের পরে সাধু ও ভক্তদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হয়। বিশেষ এই তিথিতে পুজো দিতে দূর দূরান্ত থেকে প্রচুর ভক্তের সমাগম ঘটে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.