Advertisement
Advertisement

Breaking News

শিবাজিয়ান্সকে উড়িয়ে দিয়ে ফেড কাপের অভিযান শুরু বাগানের

সমর্থকদের চোখের জল মুছতে যে সোনি, কাটসুমিরাও বদ্ধপরিকর, তা যেন তাঁদের পারফরম্যান্সই বলে দিল৷

Federation Cup: Mohun Bagan defeats DSK Shivajians by 4-0
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 8, 2017 3:18 pm
  • Updated:May 8, 2017 6:52 pm

মোহনবাগান: ৪ (বলবন্ত, ডাফি, জেজে)

ডিএসকে শিবাজিয়ান্স: ০ 

Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফেড কাপের প্রথম দিন চার্চিলের কাছে যখন ইস্টবেঙ্গল আটকে গেল, তখন খানিকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন বাগান সমর্থকরা৷ কারণ তাঁরাও ভাল করেই জানেন, ফেড কাপ পেতে সর্ব শক্তি দিয়ে লড়াই করবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীরাও৷ স্বস্তি আরও খানিকটা বাড়ল সোমবার৷ যখন ডিএসকে শিবাজিয়ান্সকে উড়িয়ে দিলেন সঞ্জয় সেনের ছেলেরা৷

Advertisement

গত মাসের শেষ দিন আই লিগে যখন চেন্নাইকে শেষ ম্যাচে হারাচ্ছিলেন, সোনি নর্ডিরা, তখন জানতে পারেননি মাত্র এক পয়েন্টের জন্য লিগটা হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে৷ ম্যাচ শেষের পরই ছবিটা স্পষ্ট হল৷ সেদিনের বৃষ্টি যেন বাগান সমর্থকদের চোখের জলেরই প্রতীক ছিল৷ আর তখনই সঞ্জয় সেনের ছেলেরা শপথ নিয়েছিলেন, আই লিগ পাওয়া হল না ঠিকই, কিন্তু কোনও মূল্যেই ফেড কাপ ছাড়া যাবে না৷ সেই শপথ নিয়েই বারাবাটির মাঠে নামা৷ আর প্রথম পরীক্ষাতে লেটার মার্কস নিয়েই উত্তীর্ণ হল বাগান৷ সবুজ মেরুন স্ট্রাইকারদের থেকে এর চেয়ে ভাল আর কী-ই বা আশা করতে পারতেন ভক্তরা!

[চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আস্থা অভিজ্ঞদের উপরেই, নেই নতুন মুখ]

শিবাজিয়ান্সের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আক্রমণ শানালেন নর্ডি, ডাফিরা৷ ফেড কাপ জিততে যে কতটা মরিয়া তাঁরা, তা তাঁদের বডি ল্যাংগুয়েজেই স্পষ্ট৷ “চেন্নাই ম্যাচের পর সমর্থকদের আমরা কথা দিয়েছিলাম, ফেডারেশন কাপ নিয়েই ফিরব৷ সেই কথা রাখতে আমরা সবাই বদ্ধপরিকর৷ এর জন্য নিজেদের ২০০ শতাংশ দিতেও পিছপা হব না৷ যা চ্যালেঞ্জ আসবে সবকিছুর জন্য আমরা তৈরি৷” ম্যাচে নামার আগে বলেছিলেন সোনি৷ সেই দায়বদ্ধতা থেকেই যেন এল প্রথমার্ধেই সেই দুরন্ত ক্রসটা৷ যেখানে থেকে অসাধারণ হেডারে বল জালে জড়িয়ে দিলেন বলবন্ত৷ আইজল ম্যাচে গোলের সুযোগ নষ্ট করায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল পাঞ্জাব দা পুত্তরকে৷ সেই জ্বালা মিটিয়ে এদিন দ্বিতীয়ার্ধে আরও একটি গোল করলেন তিনি৷ তার আগে কর্নার কিককে কাজে লাগিয়ে হেডে গোল করে ব্যবধান বাড়িয়েছিলেন ডাফি৷ বিপক্ষের ডিফেন্সকে লজ্জা দিয়ে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন জেজে৷

[ফেড কাপের শুরুতেই চার্চিলের কাছে আটকে গেল ইস্টবেঙ্গল]

শেষ তিন বছর ধরে গঙ্গাপারের ক্লাব সাফল্যের মধ্যে রয়েছে৷ তাই দল নিয়ে প্রত্যাশার পারদও দিন দিন চড়ছে৷ সমর্থকদের আশার কথাও শুনিয়ে রেখেছেন সোনিরা৷ এই জায়গাতেই অবশ্য সিঁদুরে মেঘ দেখছিলেন কোচ সঞ্জয় সেন৷ অনেক সময় অতি উৎসাহে ক্ষতি হয়ে যায়৷ ফুটবলারদের এই বাড়তি তাগিদে তেমন কিছু যাতে না হয়ে বসে, সেই নিয়েই চিন্তিত ছিলেন বাগান কোচ৷ তবে মাঠের মতোই এই বিষয়েও কোচকে অভয়বাণী দিয়েছিলেন মোহনবাগানের ফুটবলাররা৷ এদিন কোনও অঘটন ঘটাননি তাঁরা৷ সমর্থকদের চোখের জল মুছতে যে সোনি, কাটসুমিরাও বদ্ধপরিকর, তা যেন তাঁদের পারফরম্যান্সই বলে দিল৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ