Advertisement
Advertisement

Breaking News

এরিয়ানকে উড়িয়ে দিয়ে লিগ জয়ের দৌড়ে ইস্টবেঙ্গল

আমনার খেলায় ফের মজিদকে খুঁজে পেল শনিবাসরীয় ময়দান।

CFL 2018: East Bengal FC beats Aryan
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:August 18, 2018 7:04 pm
  • Updated:August 18, 2018 7:04 pm

ইস্টবেঙ্গল- ৩ (কাশিম, লাল্ডনমাওউইয়া, আমনা )

এরিয়ান- ০

Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯৭৯ থেকে ১৯৮১। মাত্র তিনবছর লাল-হলুদ শিবিরে কাটিয়েছিলেন ইরানের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার মজিদ বাসকার। কিন্তু অল্পসময়েই ইস্টবেঙ্গলের প্রাণভোমরা হয়ে উঠেছিলেন মজিদ। ময়দান আজও তাঁকে মনে রেখেছে। বিশেষ করে লাল-হলুদ শিবির। বহুদিন পর ফের মজিদের ছায়া দেখল ময়দান। আল-আমনার রূপে। শনিবাসরীয় বিকেলে আল-আমনার পায়ের জাদুতে বুঁদ হলেন ফুটবলপ্রেমীরা। এদিন ৩-০ গোলে রাজদীপ নন্দীর এরিয়ানকে উড়িয়ে দিল ইস্টবেঙ্গল। যার সিংহভাগ অবদান সিরীয় মিডফিল্ডারের। এদিন গোল করালেন এবং করলেন আমনা। তাঁর অনবদ্য পারফরম্যান্সের সুবাদে লাল-হলুদ গ্যালারিতে ফের জ্বলল মশাল। ফের চওড়া হাসি দেখা গেল টিডি সুভাষ ভৌমিকের মুখে।

Advertisement

[ডার্বির আগেই নামী বিদেশি কোচ ইস্টবেঙ্গলে! জোর জল্পনা ময়দানে]

এদিন ম্যাচের আগে নয়া জল্পনায় সরগরম ছিল ময়দান। ডার্বির আগেই প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে ভোম্বলদার ভাগ্য। কারণ, ইস্টবেঙ্গলের নয়া কর্পোরেট স্পনসর কোয়েস-এর কর্তারা হাই-প্রোফাইল স্প্যানিশ কোচ আনার কথা ভাবছেন। যিনি একাধারে সিনিয়র ও জুনিয়র, দুই টিমেরই মাথায় থাকবেন। তাতেই জোর জল্পনা শুরু হয়ে যায় ময়দানে। তাহলে কি ডার্বির আগেই সুভাষ ভৌমিকের ডানা ছাঁটা হচ্ছে? এই প্রশ্নের মধ্যেই এদিন এরিয়ানের সঙ্গে ছিল গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। গত ম্যাচের আগের ম্যাচে কলকাতা কাস্টমসের সঙ্গে ড্র করার জেরে গ্যালারি থেকে সুভাষের উদ্দেশে উড়ে আসে অশ্রাব্য গালিগালাজ। কোটি কোটি টাকা খরচ করে টিম গড়ে কী লাভ হচ্ছে, প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখায় সমর্থকরা। তারপর ঘুরে দাঁড়ায় লাল-হলুদ শিবির। সুভাষের উপর যে চাপ তৈরি হচ্ছিল তা এদিন অনেকটাই কাটিয়ে দিতে পেরেছেন আমনা। পায়ের জাদুতে সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। বহুদিন পর ইস্টবেঙ্গলের খেলায় আগ্রাসী মনোভাব চোখে পড়ল। এদিন প্রথমার্ধে কাশিম আইদারার গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। নেপথ্যে আমনার কর্নার।

[বাতিল ক্রোমার গোলেই জয় হাতছাড়া মোহনবাগানের]

বিরতির পর আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। ফলও আসে। আমনার পাস থেকে ব্র্যান্ডনের ক্রস, আর সেখান থেকে গোল করেন লাল্ডনমাওউইয়া। এদিন গোটা মাঠজুড়েই দেখা যায় আমনাকে। ছুটছেন, ড্রিবল করছেন, থ্রু পাস বাড়াচ্ছেন। প্রত্যেকটাই ঠিকানা লেখা পাস। লিগে নিজের ছাপ রাখতে এদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তিনি। আর পরিশ্রমের যথার্থ ফল পেলেন ৬৯ মিনিটে। বক্সের মধ্যে সামাদের মাইনাস রিসিভ করে টার্ন নিয়ে বিশ্বমানের গোল এল আমনার পা থেকে। গোল করার পরও বেশি উচ্ছ্বাস দেখালেন না। কাজ এখনও অনেক বাকি, লিগ তো সবে শুরু। সেই বার্তাই যেন এদিন দিয়ে গেলেন আমনা। আর তাঁর খেলার মধ্যে ফের মজিদকে খুঁজে পেল শনিবাসরীয় ময়দান।

[স্বাধীনতা দিবসে ডিকা-কিংসলে যা করলেন, জানলে গর্বিত হবেন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ