সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জ্যোতির্ময় দে থেকে শুরু করে গৌরী লঙ্কেশ। হুমকির মুখেও কর্তব্য থেকে পিছপা হননি কেউই। নির্ভীকভাবে আওয়াজ তুলেছেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে। ফলে প্রতিবাদের কণ্ঠরোধে ধেয়ে এসেছে বুলেট। জুটেছে মৃত্যু। এমনই পরিস্থিতে ভারতে সাংবাদিকদের হত্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল ‘রিপোর্টার্স উইদআউট বর্ডারস’ বা আরএসএফ। দেশে সাংবাদিকদের উপর বেড়ে চলা হামলার ঘটনায় বুধবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি।
[সীমারেখা পেরলে সুজাত বুখারির পরিণতি হবে, সাংবাদিকদের হুমকি বিজেপি নেতার]
সদ্য প্রকাশিত এক পরিসংখ্যান মতে, বিগত ১৮ মাসে দেশে খুন হয়েছেন ৭ জন সাংবাদিক। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সাংবাদিক হেনস্তা ও অনলাইনে হুমকির ঘটনাও। ২০১৭ সালে কর্তব্যের খাতিরে প্রাণ দিতে হয়েছে তিন সংবাদকর্মীকে। ২০১৮-এ এখনও পর্যন্ত খুন হয়েছেন চারজন। গতমাসেই গুলি করে খুন করা হয় ‘রাইজিং কাশ্মীর’ সংবাদপত্রের সম্পাদক সুজাত বুখারিকে। ১৯৯২ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত আততায়ীর হাতে প্রাণ হারিয়েছেন ৪২ জন সাংবাদিক। এহেন ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই ‘ওয়ার্ল্ড ফ্রিডম ইনডেক্স’-এ ভারতের অবস্থান ধাক্কা খেয়েছে। ১৮০টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১৩৮। আরএসএফ-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, সংবাদ যোগাড় করতে গিয়ে প্রায়শই হেনস্তা হতে হয় ভারতীয় সাংবাদিকদের। নেতা-মন্ত্রী থেকে শুরু করে মাফিয়াদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন সংবাদকর্মীরা। আবার কখনও তাঁদের উপর চড়াও হয়েছেন আমলারা। সব মিলিয়ে কাজের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে।
আরএসএফ-এর রিপোর্টে প্রশ্নের মুখে সরকার। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রে সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় বয়ে গিয়েছে নিন্দার ঝড়। প্রশ্ন উঠছে হত্যার তদন্ত নিয়েও। সুজাত বুখারি থেকে গৌরী লঙ্কেশ, প্রায় সব মামলাতেই তদন্তের গতি স্লথ। একের পর এক তত্ত্বে দিশাহীন তদন্তের মোড়। অভিযোগ, রাজনৈতিক চাপে প্রভাবিত তদন্তের গতি। সব মিলিয়ে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলল আরএসএফ রিপোর্ট। এই রিপোর্টে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি সরকার।
[খেলতে খেলতে মাঠেই মৃত্যু তরুণ ফুটবলারের, বেলঘরিয়ায় শোকের ছায়া]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.