সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কদিন আগে সংবাদমাধ্যমে খবর ছড়িয়েছিল বিজেপিকে হারাতে মায়াবতী কিম্বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও প্রধানমন্ত্রিত্বের পদ ছেড়ে দিতে রাজি আছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। কিন্তু ওয়ার্কিং কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে সে অবস্থান থেকে কিছুটা হলেও সরে এল কংগ্রেস। কংগ্রেস সূত্রের খবর, ঘনিষ্ঠ মহলে রাহুল গান্ধী বলেছেন, বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবে তা ঠিক করা হবে ভোটের পরই। আসন সংখ্যার নিরিখে ঠিক হবে প্রধানমন্ত্রী।
শনিবার সভাপতি হওয়ার পর দ্বিতীয়বারের জন্য কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন রাহুল গান্ধী। ছেলের হাতে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে এদিনের বৈঠেক উপস্থিত ছিলেন না ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধী। কার্যকরী কমিটির বৈঠকে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ২০১৯ নির্বাচনে সাম্প্রদায়িক বিভাজন এবং জাতিবাদকেই হাতিয়ার করতে চলেছে বিজেপি। তাঁর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য দুর্নীতি আর বেকারত্বকে অস্ত্র করবে কংগ্রেস। কংগ্রেস সূত্রের খবর, এখনই মোদির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নির্দিষ্ট কারও নাম ঘোষণা করতে চাইছে না বিরোধীরা। এতে, বিরোধী জোটের মধ্যে বিভাজন তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন রাহুল।
কংগ্রেস নেতারা বলছেন, আপাতত কংগ্রেস সভাপতির দুটো উদ্দেশ্য, এক– বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে একত্রিত করে বৃহত্তম জোট তৈরি করা। দুই- যেনতেন প্রকারেণ নরেন্দ্র মোদির পরিবর্তে অন্য কাউকে প্রধানমন্ত্রীর কুরসিতে বসানো। আপাতত প্রথম কাজটি করতে চাইছেন রাহুল। ইতিমধ্যেই মায়াবতী-অখিলেশের মতো বিরোধী মনোভাবাপন্ন নেতাকে এক ছাতার তলায় আনতে পেরেছেন তিনি।তবে, সিপিএম এবং তৃণমূলকে একসঙ্গে আনা যাবে এমন আশা রাহুলও করছেন না। তবে, কংগ্রেস নেতারা দাবি করছেন ইতিমধ্যেই রাহুলের জোট ফরমুলা কাজ করা শুরু করে দিয়েছে। মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, বিহারের মতো বড় রাজ্যগুলিতে বিরোধীদের সঙ্গে জোট গড়ার কাজ শেষ করে ফেলেছেন কংগ্রেস সভাপতি। তবে, শিবসেনা, চন্দ্রবাবু নায়ডু, কিম্বা নীতীশ কুমারের সঙ্গে জোট গড়ার ব্যপারে খুব একটা আশা দেখছে না কংগ্রেস। ঝুলে রয়েছে এরাজ্যের জোট প্রসঙ্গও। এখনও পর্যন্ত যা স্থির হয়েছে তাতে এরাজ্যে পৃথকভাবেই লড়বে কংগ্রেস ও তৃণমূল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.