সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বইমেলা শুরু হতে এখনও খানিকটা দেরি আছে। নানা বিতর্কের আঁচ থাকা সত্ত্বেও লিটিল ম্যাগাজিন মেলার ম্যারাপ বাঁধা হল বলে। তার ঠিক আগই শহরে সীমানাহীন সাহিত্যের উৎসব। আয়োজনে ঐহিক পত্রিকা।
[ হুগলি পাড়ে টেমসের ঝলক, ‘সিল্ক রিভার’ উৎসবে মাতবে শহর ]
শহরে সাহিত্য সম্মেলন নতুন কিছু নয়। তবে তথাকথিত বাণিজ্যিক পত্রিকা না হলেও যে সংগঠিত সাহিত্যপ্রয়াসে ঘাটতি পড়ে না, বসতে পারে জমজমাটি আসর, তাই-ই প্রতিভাত ‘ঐহিক’-এর নয়া উদ্যোগে। প্রথমবার তিনদিন ব্যাপী কলকাতা লিটারারি ফেস্টের আয়োজন করেছে অ্যাকাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত এই পত্রিকা। যেখানে অংশ নিচ্ছেন ভারত-বাংলাদেশের বহু কবি সাহিত্যিক। সাহিত্যের কোনও সীমানা হয় না, গণ্ডি হয় না, এমনটাই বিশ্বাস করেন পত্রিকার সম্পাদক তমাল রায়। প্রতিটি সংখ্যা সম্পাদনার সময়ও সেদিকে বিশেষ নজর দেন তিনি। যেখানে ভারত ও বাংলাদেশের লেখকরা নিজেদের সৃষ্টি নিয়ে সমবেত হন এক প্ল্যাটফর্মে। আবার দেশের মধ্যেও জেলায় জেলায় যে অজস্র্র সৃষ্টির নমুনা ছড়িয়ে আছে, প্রচারবিমুখ বহু কবি-সাহিত্যিক যে নিভৃতে সমৃদ্ধ করে তুলেছেন সাহিত্যের আঙিনা, তাও নজর এড়ায় না তাঁর। সবরকম সীমানা ভেঙে ঐহিক বরাবরই এক সামগ্রিকতার খোঁজ করে, পত্রিকায় বা ওয়েব ম্যাগাজিনে। এবার যেন তারই এক বৃহত্তর সংস্করণ হয়ে থাকল এই সাহিত্য উৎসব।
[ ইতিহাসের সাক্ষী হয়েও উপেক্ষিতই রয়েছে মুর্শিদাবাদের এই দিঘি ]
বুধবার বাংলা আকাডেমিতে হল উৎসবের সূচনা। উপস্থিত ছিলেন নবনীতা দেবসেন, সেলিনা হোসেন প্রমুখ। দ্বিতীয়ার্ধে ছিল আলোচনা সভা। বিষয়, প্রতিবাদের ভাষা ও ষাট সত্তরের কবিতা। আলোচনা ও কবিতাপাঠে অংশ নিয়েছিলেন রণজিৎ দাশ, মৃদুল দাশগুপ্ত,সুবোধ সরকার, গৌতম চৌধুরী, শ্যামলকান্তি দাশ,শংকর চক্রবর্তী, গৌর শংকর বন্দোপাধ্যায়,বিজয় দে,সমর রায়চৌধুরী, সৈয়দ কওসর জামাল,অঞ্জলি দাশ,অমিতাভ মৈত্র,জমিল সৈয়দ,গৌতম বসু,সমরজিৎ সিংহ,সুব্রত সরকার,সুধীর দত্ত প্রমুখ। দশক, অঞ্চলের ভেদাভেদ মুছিয়ে তিন দিনে বাংলা সাহিত্যসৃষ্টির সামগ্রিক রূপটি ফুটিয়ে তোলাই ঐহিক-এর উদ্দেশ্য।
[ সন্তান সারাদিন মুখ গুঁজে স্মার্টফোনে? আত্মহত্যার ঝুঁকি বাড়ছে না তো? ]
কিন্তু কেন এমন লিটারারি ফেস্টের আয়োজন ঐহিকের? সম্পাদক তমাল রায় জানাচ্ছেন, “এখনও এ দেশে নানা বিভেদ, অসাম্য। লিঙ্গসাম্য আজও প্রতিষ্ঠিত নয়। আমি চাই আমাদের সাহিত্য প্রতিবাদের আখর হয়ে উঠুক। বৈষম্যের আঁধারে এসে পড়ুক সাহিত্যের রোদ। সাহিত্যের যে সদর্থক ভূমিকা, সম্মিলনের যে চালিকাশক্তি তাই-ই আর একবার তুলে ধরতে এ আয়োজন।” প্রথমবারের এই উৎসবেই অংশ নিচ্ছেন প্রায় ২০০ জন সাহিত্যিক। বাংলাদেশ ও ত্রিপুরা-সহ উত্তর পূর্ব ভারত থেকেও অংশ নিয়েছেন সাহিত্যিক ও সাহিত্যপ্রেমীরা। এ উৎসব কলকাতা ও পাশ্বর্বতী জেলাগুলির একটা মিলনমেলাও বটে। প্রথমদিনের পর বাকি দু’দিনের অনুষ্ঠান হবে সল্টলেকের ওকাকুরা ভবনে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.