সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাটির ভাঁড়ে ধোঁয়া ওঠা চায়ে একটু চুমুক, আহ! নিমেষে হালকা মাথা, শরীর চনমনে, মেজাজ ফুরফুরে। অফিস পাড়া, মোড়ের মাথা, প্ল্যাটফর্মের ধারের ঝুপড়িতে দিনে ৫-৬ বার হয়েই যায়। উষ্ণতা, এনার্জি জোগাতে শীতে আরও ঘনঘন। কিন্তু এই স্বস্তির চুমুক বেশিরভাগ সময়েই অসুখের কারণ। জানেন কী?
বড় ডেকচিতে ফুটন্ত ধোঁয়া ওঠা ফেনা চায়ের শুধু ভাল গুণটিই আমরা গ্রাহ্য করি। কিন্তু বেশিরভাগ দোকানি চাহিদা মেটাতে ও জোগান বাড়াতে একবারে অনেকটা চা করেন আর সেই চা বারবার ফুটিয়ে ক্রেতাকে দিতে থাকেন। কোথাও আবার লাভের জন্য একবার চা করে সেই চায়ের পাতা পুনরায় চা করতে ব্যবহার করে। চা তৈরির এই পন্থাই শরীরে খারাপ প্রভাব ফেলে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য গবেষক ড. প্রশান্ত বিশ্বাসের দাবি, গরম চা বারবার খেলে খাদ্যনালিতে ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। ২ মিনিটের বেশি সময় ধরে চা গরম করা হলে চায়ে উপস্থিত উপকারী উপাদানের (ক্যাফিন, ট্যানিন) গুণ নষ্ট হয়ে যায়।
একই চা বারবার ফোটালে পাতায় মিশে থাকা কীটনাশক, হেভিমেটাল চায়ের মধ্যে দ্রবীভূত হতে শুরু করে। চায়ের মাধ্যমে তা শরীরে প্রবেশ করে। চা বেশিক্ষণ গরম করে রেখে দিলে তার মধ্যে পলিফেনল ও এসেন্সিয়াল অয়েলের গুণও নষ্ট হয়ে যায়। চা ও দুধের মধ্যে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া ও ফাংগাস থাকে, যা গরমে বৃদ্ধি পায়। চা করে সঙ্গে সঙ্গে খেলে এই ধরনের ব্যাকটেরিয়া গ্রো করার সুযোগ পায় না। কিন্তু রেখে দিলে এবং বারেবারে গরম করলে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধির সুযোগ পায় অনেক বেশি। ব্যাকটিরিয়াযুক্ত চা দীর্ঘদিন খেলে চোখের গ্লুকোমায়, স্নায়ুতে প্রভাব ফেলে। স্মৃতিশক্তি, দৃষ্টিশক্তি ব্যাহত হতে পারে।
চায়ের মধ্যে থাকে উপকারী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ক্যাথেচিন। দুধে থাকে কেসিন জাতীয় প্রোটিন। দুধ মিশিয়ে চা বারবার গরম করলে ক্যাথেচিন ও কেসিন মিশে গিয়ে চায়ের উপকারিতা নষ্ট করে।
এক নজরে:
অতএব এবার থেকে রাস্তার ধারের দোকান থেকে চা কেনার সময় দেখে নিন চা তখনই তৈরি করে দিচ্ছে কি না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.