Advertisement
Advertisement

Breaking News

ভক্তদের থেকে বকশিশ দাবি, তিরুপতি মন্দিরের ২৪৩ জন ক্ষৌরকারকে ছাঁটাই

বিনামূল্যের পরিষেবাতেও অর্থের জন্য গা-জোয়ারি।

Tirupati Temple sacked 243 barbers for taking tips
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 14, 2017 3:47 pm
  • Updated:September 24, 2019 2:09 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় আছে অতি লোভে তাঁতি নষ্ট। তিরুপতি মন্দিরের ক্ষৌরকারদের ক্ষেত্রে এই কথাটা প্রযোজ্য। তিরুপতিতে মানত করতে যাওয়া পুন্যার্থীদের থেকে ইচ্ছামতো বকশিশ দাবি করেন নাপিতরা। এই নিয়ে অভিযোগের পাহাড় জমছিল। অবশেষে কঠোর ব্যবস্থা নিল মন্দির কর্তৃপক্ষ। বেনজিরভাবে এক ধাক্কায় ছাঁটাই করা হল ২৪৩জন নাপিতকে।

TIRUPATI 2

Advertisement

[মাত্রাতিরিক্ত দক্ষিণায় লাগাম, ঘাঘরবুড়ি মন্দিরে ‘রেট চার্ট’ লাগানোর নির্দেশ]

Advertisement

পৃথিবীর ধনীতম দেবতা হিসাবে মানা হয় অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতিকে। অন্ধ্রের তিরুমালা পর্বতের শৃঙ্গে এই তিরুপতি মন্দির অবস্থিত। অনেকেই তিরুপতিকে লর্ড ভেঙ্কটেশ, গোবিন্দা বা বিষ্ণু নামে ডাকেন। মন্দিরের ভিতর পৌঁছাতে হলে দর্শনার্থীদের দীর্ঘ লাইন দিয়ে ঢুকতে হয়। এই দেবালয়ে সাধারণ মানুষ থেকে রাজনীতিবিদ কিংবা সেলিব্রিটি, সব শ্রেণির প্রতিনিধিদের দেখা যায়। তিরুপতির প্রতি অপার বিশ্বাসে ভক্তরা মানত করেন। যাঁরা মানত করেন তাদের মন্দির চত্বরে একটি পুকুরে স্নান করতে হয়। স্নান করলেই পাপ থেকে মুক্তি মেলে, এমনটাই বিশ্বাস পুন্যার্থীদের। এরপর মাথা মোড়াতে হয়। এক্ষেত্রে অবশ্য নারী-পুরুষ নির্বিশেষে মাথা মুণ্ডন করেন। মাথা ন্যাড়ার করার জন্য অবশ্য ভক্তদের কোনও অর্থ দিতে হয় না। তবে এই মস্তক মুণ্ডনের জন্য মন্দিরের ক্ষৌরকাররা বিপুল অর্থ বকশিশ দাবি করেন বলে দর্শনার্থীদের একাংশের অভিযোগ। এই নিয়ে ভক্তদের থেকে নালিশ পেয়ে ২৪৩ জন নাপিতকে মন্দির ছাড়তে বলেছে কর্তৃপক্ষ। তিরুপতিতে ৯৪৩ জন ক্ষৌরকার কাজ করেন। এদের অধিকাংশই অস্থায়ী। বাকি নাপিতদের প্রতি কড়া নির্দেশ দিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। বলা হয়েছে দর্শনার্থীদের সঙ্গে কোনওরকম দুর্ব্যবহার করা চলবে না। প্রত্যেকের জন্য রাখতে হবে আলাদা ব্লেড। নিয়মিত সরঞ্জাম পরিষ্কার রাখতে হবে। তবে এই সিদ্ধান্তে বেজায় ক্ষুব্ধ কর্মহারারা। তাঁদের অভিযোগ, কয়েকজনের জন্য তাঁদের দায় নিতে হয়েছে। তাঁরা বিক্ষোভ দেখানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন।

[রসগোল্লা ‘জাতে’ উঠেছে, কম যায় না বাংলার বাকি মিষ্টিগুলিও]

দেশের বিভিন্ন মন্দিরে পান্ডা বা পুরোহিতদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে পুন্যার্থীদের অভিযোগের শেষ নেই। তিরুপতি মন্দিরে এই নিয়ে নালিশ হওয়া মাত্র ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অন্যান্য জায়গায় এমন ব্যবস্থা নেওয়া হলে ভালভাবে মন্দিরে পুজো দেওয়া যাবে বলে মনে করেন দর্শনার্থীরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ