Advertisement
Advertisement

Breaking News

জানেন, কোথায় আছে বিশ্বের সবথেকে পুরনো নিরামিষ রেস্তরাঁ?

প্রধান আকর্ষণ অবশ্যই ভারতীয় মেনু।

Tracing the Indian connection of World's 'Oldest' Vegetarian Restaurant
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 17, 2017 2:25 pm
  • Updated:July 17, 2017 2:25 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  গো-মাংস নাকি শুয়োরের মাংস? কচি পাঁঠার ঝোল নাকি মুরগির কষা দম? সেসব বিতর্ক এখন না হয় থাকুক। গোটা দেশ জুড়ে যা চলছে, তাতে প্রাণে বাঁচতে সবজিই ভাল। চুপিসাড়ে অনেকেই এ কথা বলছেন। আর বিশ্বের সবচেয়ে নিরামিষাশী দেশ তো ভারতই। এই দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ খাঁটি নিরামিষাশি। তাই খামোখা মাংস নিয়ে বিতর্ক কেন?  তবে এই তথ্য কি আপনার জানা? বিশ্বের সব থেকে পুরনো নিরামিষ রেস্তরাঁ কিন্তু মোটেও এ দেশে নয়। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বলছে, সবচেয়ে পুরানো রেস্তরাঁটি সুইজারল্যান্ডের জুরিখে।  হোটেলটির নাম- হস হিলটল। রেস্তরাঁটি অন্তত চার প্রজন্ম ধরে চালাচ্ছে একটি পরিবার।

veg1

Advertisement

১৮৯৮ সালে চালু হয়েছিল এই রেস্তরাঁ। রেস্তরাঁটি চালু করেন অ্যামব্রোসিয়াস হিলটল। ভাবলে অবাক হবেন গত ১১৯ বছর ধরে রেস্তরাঁটিতে প্রতিদিন ৫০০রও বেশি পদ রান্না হয় এবং সব নিরামিষ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নিরামিষ পদ তৈরি হয় এখানে। যার মধ্যে ভারতীয় নিরামিষ পদ এখানকার ক্রেতাদের সবথেকে বেশি পছন্দ।তাই হিলটলের মেনুতে সবার প্রথমেই থাকে ভারতীয় খাবার।

Advertisement

veg

১৯৫১ সালে ভারতের সঙ্গে জুরিখের এই রেস্তরাঁর এক অদ্ভুত যোগাযোগ গড়ে ওঠে। সেই বছরই হোটেলের তখনকার মালকিন মারগ্রিথ ভারতে আসেন বিশ্ব নিরামিষ সম্মেলনে যোগ দিতে। সেখানেই ভারতীয় নিরামিষ রান্নার স্বাদে মুগ্ধ হন তিনি।

veg5শুধু তাই নয়। তখন তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাইয়েরও। ১৯৫৩ সালে জুরিখের এই হোটেলে পা রাখেন মোরারজি।

veg4

বিশ্বের ৬০টি দেশ থেকে আসা কর্মী ও তিরিশ জন শেফের বেশ কয়েকজন ভারতীয়ও বটে। ১৯৩১ সালে প্রথম বিদ্যুৎ আসে এই হোটেলের রান্নাঘরে। আর আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় এই হোটেলের পেজে নিজেদের মতামত দিতে পারেন ক্রেতারা। সেটা নেতিবাচক মন্তব্যও হতে পারে। তাকেও স্বাগত জানান হোটেল কর্তৃপক্ষ। ২০১২ সালে রেস্তরাঁটির নাম ওঠে গিনেস বুকেও।

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ