স্টাফ রিপোর্টার: ৬০ টাকার চিকেন বিরিয়ানি অথবা ২৫ টাকার চিকেন রোল। নাকি হালফিলের চিকেন পপকর্ন, চিকেন হট উইংস বা গ্রিলড চিকেন, যা খাচ্ছেন তা মরা মুরগির মাংস নয়তো? শহরের আকাশে এখন সেই আশঙ্কারই মেঘ। তাই নড়েচড়ে বসেছে কলকাতা পুরসভার খাদ্য ভেজাল রোধ বিভাগ।
সোমবার থেকে শহরের ১৬টি বরোয় শুরু হয়েছে মুরগির মাংসের নমুনা সংগ্রহের কাজ। পুরসভা সূত্রে খবর, প্রতি বরোতে অন্তত দু’টি করে নমুনা সংগ্রহ করে এনে তা পরীক্ষা করা হবে। পরীক্ষায় যদি দেখা যায় রোগে আক্রান্ত মুরগি ফরমালিনে ডুবিয়ে তা বিক্রি করা হয়েছে তাহলে বাজেয়াপ্ত করা হবে ট্রেড লাইসেন্স। খাদ্য সুরক্ষা আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। এদিন কলকাতা পুরসভায় মেয়র পারিষদ স্বাস্থ্য অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, “উত্তর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া থেকে শহরের চাহিদার প্রয়োজনীয় মাংস সরবরাহ করে। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া এলাকা থেকে শহরে মরা মুরগি চালানের অভিযোগ এসেছে। এর ফলে শহরের মুরগি সাপ্লায়ার, ডিস্ট্রিবিউটরদের কাছে গিয়ে যেমন স্টক মিলিয়ে দেখা হবে, তেমনই কোথাও মুরগি মারা গেলে পরবর্তী কী পদক্ষেপ করছে স্টকিস্ট বা ডিস্ট্রিবিউটররা তা খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি শহরের রেস্তরাঁ, হোটেল ও রাস্তার রেস্তরাঁতেও অভিযান চালানো হবে।”
[বাংলা থেকেই শুরু ফেডারেল ফ্রন্টের যাত্রা, মমতাকে পাশে নিয়ে ঘোষণা চন্দ্রশেখর রাওয়ের]
পুর অধিকারিকরা জানাচ্ছেন, ভেজাল জলের মতোই খাদ্য সুরক্ষা আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি ফৌজদারী আইনের ২৭২ ও ২৭৩ ধারায় মামলা করার জন্য এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের কাছে আবেদনও জানানো হবে। এছাড়া কোথাও পরীক্ষার নমুনায় ফরমালিনের উপস্থিতির প্রমাণ পেলেই খাদ্য সুরক্ষা আইনে মামলা করবে পুরসভা। যে মামলায় দোষী প্রমাণিত হলেই ছ’মাস থেকে যাবজ্জীবন জেল এমনকী মোটা আর্থিক জরিমানার সামনেও পড়তে হতে পারে দোষীকে।
তবে এই অভিযানের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে কলকাতা পুরসভা। এদিন অতীনবাবু বলেন, “রাস্তাঘাটে বা ছোটখাটো রেস্তরাঁয় সস্তায় মুরগির মাংসের যে সব পদ পাওয়া যায় তা মানুষকেই বিচার করতে হবে। কোনও ব্যবসায়ী লাভ না রেখে কীভাবে সস্তায় মাংসের বিভিন্ন পদ বিক্রি করছে তা ভাবার সময় এসেছে।” আবার সব ব্যবসায়ী যে অসৎ নন সেই কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন অতীনবাবু। তিনি বলেন, “ডালহৌসি চত্বরে একটি বিরিয়ানির দোকান রয়েছে। যারা খুব কম পরিমাণ লাভ রেখে ভাল খাবারই বিক্রি করে থাকে। যেখানে প্রতিদিন প্রচুর মানুষ খায়। এমনকী পুরসভা খাদ্য ভেজাল অভিযান চালাতে গিয়েও ওই দোকানের বিরুদ্ধে তেমন কোনও অভিযোগ পায়নি।” পুরকর্তারা বলছেন, সাধারণ মানুষকেই ভাবতে হবে যে দোকান থেকে খাবার কিনছেন সেই দোকানের পক্ষে খাদ্যের গুণগত মান কতটা রক্ষা করা সম্ভব।
[সম্পর্কের ঝামেলা মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ আদালতের, ডিভোর্সেই অনড় মেয়র]
কীভাবে সংরক্ষণ করা হয় মরা মুরগি?
আইনি ব্যবস্থা:
[হাই কোর্টে কর্মবিরতির সময়সীমা আরও বাড়ল, দুর্ভোগে বিচারপ্রার্থীরা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.