Advertisement
Advertisement

Breaking News

ঘরের কাছে আরশিনগর, খোঁজ দেবে বর্ধমানের পর্যটন মেলা

এরকম অচেনা জায়গার ছবি থাকলে পাঠিয়ে দিন আপনিও।

Tourism carnival could bring new spot
Published by: Utsab Roy Chowdhury
  • Posted:January 12, 2019 7:14 pm
  • Updated:January 12, 2019 7:14 pm

চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: ‘ঘরের কাছেই আরশিনগর।’ অথচ জানা যায় না কোথায় লুকিয়ে থাকে সেই সম্পদ! এই বড় রহস্যের সন্ধানে নামল খোদ জেলা প্রশাসন। দার্জিলিং, শান্তিনিকেতন, দিঘা, তাজপুর বা মন্দারমণির বাইরেও অনেক ভাল স্পট আছে। আর নিজের জেলায় সেই অচেনা স্পট খুঁজতেই এবার পর্যটন মেলার আয়োজন করল প্রশাসন। শিল্পাঞ্চলে ভ্রমণ পিপাসুদের মনের মতো জায়গার সন্ধানে করতে ফটোগ্রাফারদের সাহায্য নেওয়া হবে। তাঁদের লেন্সেই পর্যটন মেলায় উঠে আসবে আসানসোলের শিল্পাঞ্চলের অজানা ট্যুরিস্ট স্পট। সেরা ছবি পাবে পুরস্কারও।  

চলতি মাসের শেষের দিকে দুই বর্ধমান-সহ পাঁচ জেলায় পর্যটন উৎসব করবে জেলা প্রশাসন। দুই বর্ধমানের দুর্গাপুর ও সদর বর্ধমান শহরে ওই পর্যটন মেলা হবে। জেলার নতুন পর্যটন কেন্দ্র নিয়ে উৎসবের ময়দানে ফটো গ্যালারি করা হবে। সেরা ফটোগ্রাফারকে পুরস্কৃত করা হবে মেলা প্রাঙ্গণে। চিত্রগ্রাহকদের লেন্সে ফুটে ওঠা অপিরিচিত কেন্দ্রগুলি উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হবে মেলা প্রাঙ্গণে। অচেনা স্পট পর্যটকদের সামনে তুলে ধরতে উৎসবকে প্ল্যাটফর্ম হিসাবে ব্যবহার করা হবে। পশ্চিম বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রশান্ত মণ্ডল বলেন, জেলায় দুর্গাপুরের চতুরঙ্গ মাঠে ২৪, ২৫ ও ২৬ জানুয়ারি এই উৎসব হবে। এর জন্য সবরকম প্রস্তুতি নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। উৎসবের দিনগুলিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হবে। কুইজ প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হবে। যার অধিকাংশ পর্যটনকেন্দ্র ভিত্তিক। মাইথন, ঘাঘরবুড়ি বা দেওলপার্ক ছাড়াও আরও অনেক জায়গা আছে। যেখানে প্রকৃতির অপূর্ব স্বাদ পাওয়া যায়। যেগুলো অনেকের কাছে অচেনা বা অজানা। লেন্সের মাধ্যমে ওই সব ঘরের কাছে আরশিনগরের সন্ধান দেবে পর্যটন মেলা।

Advertisement

[গোটা পার্কজুড়ে মাথা তুলে রয়েছে পুরুষাঙ্গ, বিকৃতকাম না কি নিছক মজা?]

সালানপুরের মুক্তাইচণ্ডি, কুলটির মানিকেশ্বর, দামোদরের ভূতাবুড়ি মন্দির, দ্বারকানাথের কয়লাকুঠি, বারাবনির উষ্ণ প্রস্রবণ সম্পর্কেও খোঁজ পাওয়া যাবে এই মেলায়। থাকবে পর্যটন বিভাগের স্টল। এছাড়া ট্যুর অপারেটদের জন্য বিভিন্ন স্টল রাখা হবে। শুক্রবার থেকে ফটোগ্রাফারদের কাছে ছবি চাওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত ছবি সংগ্রহের কাজ চলবে। তবে যাঁরা ছবি দেবেন, তাঁদের অবশ্যই জেলারই বাসিন্দা হতে হবে। প্রতিযোগিতায় সেরা ছবিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা হবে। পর্যটনকে ঢেলে সাজতে চান তাঁরা। সংস্কৃতি ও শিল্পকে পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত করে মেলার ব্রোশিওরগুলো নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। পরিষেবা ও বিপণনের দিকে জোর দিতে দপ্তরের অফিসে হেল্প-ডেস্ক , বিজ্ঞাপন দিয়েছে সরকার। ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপের সাহায্যেও জনসংযোগ গড়ে তোলা হবে। এ ছাড়া, ই-মেল মারফত সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনেও জোর দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ