Advertisement
Advertisement
নীরব

পরিচয় গোপনে প্লাস্টিক সার্জারি করাতে চেয়েছিল নীরব মোদি, ফাঁস চাঞ্চল্যকর তথ্য

তদন্তে ফাঁস চাঞ্চল্যকর তথ্য।

Diamond merchant Nirav Modi planned plastic surgery to evade law
Published by: Tanujit Das
  • Posted:March 22, 2019 1:20 pm
  • Updated:March 22, 2019 3:26 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে চোখে ধুলো দিয়ে, পালিয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছেন। তবে গত বুধবার সেই অভিযানে পূর্ণচ্ছেদ পড়েছে। লন্ডনে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড গ্রেপ্তার করেছে পিএনবি ব্যাংক প্রতারণা কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত নীরব মোদিকে। এবার প্রহর গোনা শুরু হয়েছে কবে এবং কখন, তাঁকে দেশে ফেরানো সম্ভব হবে, তা নিয়ে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রাবিশ কুমার বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, নীরবকে দেশে ফেরাতে ব্রিটেনের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করেছে ভারত। কিন্তু টানা প্রায় দেড় বছর ঠিক কোন উপায়ে, মোদি পালিয়ে থাকতে পেরেছিলেন, বেপাত্তা থাকতে সক্ষম হয়েছিলেন, সেই কাহিনিও নাকি কম চাঞ্চল্যকর নয়। সূত্রের খবর, হাতকড়া এড়াতে প্রত্যন্ত এক দ্বীপের নাগরিকত্ব চেয়ে আবেদন করা ছাড়াও, সিঙ্গাপুরে স্থায়ী বসতি চেয়ে আবেদন করেছিল নীরব মোদি৷ ভারত, ব্রিটেন বাদে বিশ্বের তৃতীয় কোনও দেশে নিরাপদ আশ্রয় সুনিশ্চিত করতে ব্রিটেনের নামজাদা ল’ফার্মগুলির সঙ্গে পরামর্শ করতে শুরু করেছিল এই ভারতীয় হিরে ব্যবসায়ী৷ এমনকী, ভোল পালটে ফেলতে প্লাস্টিক সার্জারি করারও পরিকল্পনা তৈরি করে রেখেছিলেন তিনি।

[দুষ্কৃতীদের চুয়াত্তরটি গুলিতে দৃষ্টিহীন ওরাংওটাং, নিহত তার এক মাসের সন্তান ]

Advertisement

কিন্তু তবুও শেষরক্ষা হয়নি! তার কারণ, ২০১৮-র জানুয়ারি মাসে কাকা, মেহুল চোকসির সঙ্গে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই নীরবের গতিবিধির উপর কড়া নজর রাখছিলেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। তাঁদের কাছে তথ্য ছিল, ঘনঘন ইউরোপ এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে যাওয়া-আসা করছেন নীরব। গোয়েন্দারা জানতে পারেন, গত ১৫ মাস ধরে এই ভারতীয় ব্যবসায়ী ক্রমাগত চেষ্টা করে গিয়েছেন নিরাপদ আশ্রয় খোঁজার৷ যাতে কোনওভাবেই নয়াদিল্লি তাঁর সন্ধান না পায়। সেই চেষ্টারই অঙ্গ ছিল ভানুয়াতু নামের একটি দ্বীপ-রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব চেয়ে তাঁর আবেদন করা। দ্বীপ-রাষ্ট্রটির অবস্থান প্রশান্ত মহাসাগরে। এটি অস্ট্রেলিয়া থেকে ১,৭৫০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। এতেই ক্ষান্ত হননি নীরব। এর পরও সিঙ্গাপুরে স্থায়ী বসবাস চেয়ে আবেদন করেছিলেন। পাশাপাশি চলছিল আইনি পথে বিপদ এড়ানোর চেষ্টাও। সেই কারণেই ব্রিটেনের ল’ ফার্মের সঙ্গে নিত্য ওঠাবসা করছিলেন তিনি।

Advertisement

[ক্রাইস্টচার্চ হামলাকে অস্ত্র করে জেহাদের বিষ ছড়াচ্ছে ইসলামিক স্টেট   ]

ভারতীয় গোয়েন্দাদের মধ্যে কেউ কেউ বলছেন, কাকা মেহুল চোকসির মতো অতটা বিচক্ষণ এবং চালাক নন নীরব। তাই কাকা যা পেরেছেন, নীরব তা পারলেন না। গ্রেপ্তারি এবং প্রত্যর্পণ এড়াতে মেহুল ২০১৭-তেই ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের অ্যান্টিগুয়া এবং বার্বুদার নাগরিকত্ব চেয়ে আবেদন করেছিলেন। আর তাই যখন তাঁর বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস জারি করতে সিবিআই এবং ইডি ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হয়েছিল, চোকসি তা এড়াতে পালটা সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের কাছে জানিয়েছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে চলা তদন্ত আদপে ‘রাজনৈতিক মদতপুষ্ট’। ভারতের একাধিক বার আবেদন করা সত্ত্বেও চোকসিকে নিয়ে অ্যান্টিগুয়া কোনও সদর্থক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। আর এখানেই নীরবকে বুদ্ধির দৌড়ে টপকে গিয়েছেন চোকসি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ