Advertisement
Advertisement
আলুওয়ালিয়া

‘জামাই’ কটাক্ষের জবাব প্রচারে, সমাবেশ থেকেই তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ আলুওয়ালিয়ার

মোদির হাতে দেশ নিরাপদ, প্রচারে বার্তা হেভিওয়েট বিজেপি প্রার্থীর৷

SS Aluwalia replies 'Jamai' critics by his campaign and challenge to TMC
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:April 9, 2019 9:02 am
  • Updated:April 22, 2019 2:35 pm

সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো:  অনেক দেরিতে নাম ঘোষণা হয়েছে৷ তাই এক মুহূর্ত সময়ও নষ্ট করেননি৷ বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া নেমে পড়েছেন প্রচারে৷ তবে নিজের কেন্দ্রে পা দেওয়ামাত্রই সোমবার তাঁকে ফের ‘জামাই’ কটাক্ষ শুনতে হয়েছে৷ বিমানবন্দরে পা রাখা মাত্রই সমবেত কণ্ঠে ‘জামাই’ কথাটি তাঁকে লক্ষ্য করে বলতে থাকেন কয়েকজন৷ এদিন কাঁকসার সিলামপুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রচার চলাকালীন  তৃণমূল প্রার্থী মমতাজ সংঘমিতাও কটাক্ষ করে বলেন, ‘সাধারণত জামাইয়ের ব্যাপারটা হল, শ্বশুরবাড়ি এলে,খেল, চলে গেল৷ কিন্তু অধিকাংশ জামাই চায়, শ্বশুরবাড়ি দখল করতে। সেটা আবার কেউ পছন্দ করে না।’ 

                                                  [ আরও পড়ুন: নির্বাচনে জনসচেতনতা বাড়াতে অভিনবত্ব ঝাড়গ্রামে, তৈরি ভোট উদ্যান]

তৃণমূলের এই বাউন্সার অবশ্য বেশ সামলে দিয়েছেন সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। তিনি পালটা বলেন, ‘‘আমাকে এখানে সবাই ‘জামাই’ বলেই ডাকে৷ বাংলার প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুও আমাকে ‘জামাই’ বলেই ডাকতেন। আমি এখানকার জামাই, এটা তো ঘটনা। তাকে অস্বীকার করি কীভাবে? ভোট যতই এগিয়ে আসবে, বর্ধামন-দুর্গাপুরে ‘জামাই’য়ের উপর চাপ ততই বাড়বে। আর ঠিক ততটাই চাপে থাকবেন এই জেলার দুই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা তথা আলুওয়ালিয়ার দুই শ্যালক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, নির্মল বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবারের পরিস্থিতি দেখে তাঁরা বেশ চাঙ্গা৷ তবে রাজনৈতিকভাবে এই ‘জামাই’ কটাক্ষ কাজে লাগিয়ে কতটা ফায়দা তুলতে পারে তৃণমূল, তা নিয়ে জল্পনা থাকছেই৷  

Advertisement

                                   [ আরও পড়ুন:আতঙ্ক কাটিয়ে ভোট দিন, বার্তা নিয়ে অযোধ্যা পাহাড়ে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার]

এসব সামলেই সোমবার সন্ধে থেকে প্রচারে নেমে গিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী আলুওয়ালিয়া৷ সর্বমঙ্গলা মন্দিরে পুজো, গুরুদোয়ারায় প্রার্থনার পর  হাজার হাজার কর্মী-সমর্থককে নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে বুঝিয়ে দিলেন, তিনিও কম যাচ্ছেন না৷বিজেপির দাবি, অন্তত ১০ হাজার মানুষ যোগ দিয়েছেন এই শোভাযাত্রায়৷ ব্যান্ড, তাসা থেকে শুরু মহিলা ঢাকির দল,আদিবাসী নাচের দল, ড্রিল ব্যান্ড – কী ছিল না? কর্মী-সমর্থকদের জন্য গাড়ি বোঝাই করা মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানির মিনারেল ওয়াটারের বোতল। সেই শোভাযাত্রায় থেকে বিজেপি প্রার্থী কখনও শিশুকে একহাতে তুলে নিলেন কোলে। গাল টিপে আদর করে দিলেন শিশুকে। ভিড়ের মধ্যে থেকে অনেকে হুড়মুড়িয়ে এসে বিজেপি প্রার্থীর গলায় পরিয়ে দিলেন ফুলের মালা।  তাঁর কথায়, “আমি ভূমিপুত্র, ভূমি-জামাইও৷ ভোটের লড়াইটা আমি সবসময়ই সিরিয়াসলি লড়েছি। না হলে গতবার বাইচুং ভুটিয়ার মত প্রার্থীকে দার্জিলিংয়ে ২ লক্ষ ভোটে হারাতে পারতাম না।” পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দিলেন, এবারের ভোটে মূল ইস্যু একটাই৷ সারা দেশ চাইছে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ফের কেন্দ্রীয় সরকার তৈরি হোক৷ মোদির হাতেই দেশ সুরক্ষিত৷ সোমবার আলুওয়ালিয়ার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ারও কথা ছিল। কিন্তু শোভাযাত্রা করেই কলকাতা চলে যান প্রার্থী। মঙ্গলবার মনোনয়ন পেশ করতে পারেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী৷ 

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ