Advertisement
Advertisement

Breaking News

ভোট

৩ বছরেও গড়ে উঠল না ভাঙনে তলিয়ে যাওয়া ঘর, প্রতিবাদে ভোট বয়কটে বীরনগর

মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রের অন্তর্গত ৬০টি পরিবার এখনও আশ্রয় শিবিরে৷

Homeless people of Birnagar,Maldah Dakshin decide to boycott vote
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:April 22, 2019 12:51 pm
  • Updated:April 22, 2019 12:51 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গঙ্গার ভাঙন গ্রাস করেছে ভিটেমাটি৷ ফি বছরের এই এক সমস্যা মালদহের বিস্তীর্ণ অংশের মানুষজনের৷ প্রতি বর্ষায় নদীর পাড় ভেঙে তলিয়ে যায় ঘরবাড়ি৷ কোথাও ফের নতুন করে গড়ে ওঠে বসতি, কোথাও আবার ফাঁকা জমিই পড়ে থাকে দিনের পর দিন, বছরের পর বছর৷ তেমনই একটি জায়গা মালদহ দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বীরনগর ১ গ্রাম পঞ্চায়েত৷

[ আরও পড়ুন : তৃতীয় দফার আগে ফের পুলিশে রদবদল, থানা থেকে ৭ অফিসারকে বদলি কমিশনের]

২০১৬ সালে পাড় ভেঙে ভেসে গিয়েছিল বীরনগর এক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বেশ খানিকটা অংশ৷ ১০০টি বাড়ি তলিয়ে গিয়েছিল৷ গৃহহীন হয়ে পাশের বীরনগর বালিকা বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন অন্তত ৪০০ জন৷ ৩টি বছর কেটে গেলেও ঘরে ফেরা হয়নি৷ ভাঙন কবলিত এলাকায় কেউ পুনর্বাসন দেয়নি৷ প্রশাসনের হাজার আশ্বাস ছিল, বাস্তবে কাজ হয়েছে শূন্য৷ তৈরি হয়নি কোনও বাড়ি৷ ফলে তিনতলা ওই স্কুলটাই স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গিয়েছে তাঁদের৷

Advertisement

বছর পঁয়তাল্লিশের ফুকুরানি মণ্ডল জানাচ্ছেন আশ্রয় শিবিরে তাঁর দুঃসহ অভিজ্ঞতার কথা৷ তাঁর চার সন্তানকে নিয়ে থাকেন স্কুলের একটি ছোট্ট ঘরে৷ সেখানে শৌচালয়ের কোনও ব্যবস্থা কার্যত নেই৷ প্রকৃতির ডাক এলে বাইরের খোলা জায়গায় যাওয়া ছাড়া উপায় নেই৷ এভাবেই চলছে ৩ বছর৷ ফুকুরানি বিড়ি তৈরি করে সংসার চালান৷ তাঁর পক্ষে নিজের ঘর তৈরি করে নেওয়া সম্ভব হয়নি৷ স্থানীয় পঞ্চায়েত কথা দিয়েছিল, ঘর তৈরি করে দেবে৷ কিন্তু সে কথা, কথাই রয়ে গেছে৷ সকলের অবস্থা অবশ্য ফুকুরানির মতো নয়৷ কয়েকজন কষ্টেশিষ্টে ঘর বেঁধে ফিরে গিয়েছেন বাপ-ঠাকুরদার ভিটেতে৷ বীরনগর গার্লস স্কুলে এখনও রয়ে গিয়েছে প্রায় ৬০ টি পরিবার৷

Advertisement

[ আরও পড়ুন : হাতিয়ার উন্নয়ন, ‘নতুন’ নন্দীগ্রামে বড় লিডের আশায় তৃণমূল]

কেউ কথা রাখেনি৷ কেউ কথা রাখবে বলে আর আশাও রাখেন না ফুকুরানিরা৷ তাই এবার আর ভোট দেবেন না বলে ঠিক করেছেন তাঁরা৷ বাস্তুচ্যুত মানুষগুলোর গণতন্ত্রের মহাযজ্ঞে আর ভরসা নেই৷ জনপ্রতিনিধি হয়ে আসাই সার৷ তাঁদের মতো অসহায় মানুষজনের দিকে আর ফিরে তাকায় না কেউ৷ বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে এইই বুঝেছেন তাঁরা৷ তাই এবার ভোট বয়কটের পথেই হাঁটতে চলেছেন স্কুলবাড়ির আশ্রয়ে থাকা মানুষজন৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ