Advertisement
Advertisement

Breaking News

শ্রীলঙ্কা

ইস্টার হামলার জের, শ্রীলঙ্কায় নিষিদ্ধ হতে পারে বোরখা   

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে সরকার।

Easter Day blast fallout, Sri Lanka may impose ban on burqa
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:April 24, 2019 4:03 pm
  • Updated:April 24, 2019 4:03 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদের ধর্ম হয় না। তবে ধর্মের নামেই নাশকতা ঘটাচ্ছে জেহাদিরা। ধর্মীয় পরিধানের আড়ালে গা ঢাকা দিচ্ছে জঙ্গিরা। তাই ইস্টার ডে হামলার পর এবার বুরখা নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে শ্রীলঙ্কা সরকার। 

[জাপানের প্রতিবেশী জার্মানি! ভূগোল গুলিয়ে হাসির খোরাক ইমরান খান]

Advertisement

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বুরখা নিষিদ্ধ করা নিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে সরকার। দ্বীপরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনার সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। তা হঠাৎ করে বোরখা নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত কেন? স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ও পুলিশ সূত্রে খবর, ইস্টার ডে হামলার পরের দিন অর্থাৎ সোমবার রাজধানী কলম্বো শহরের লাগোয়া দেমাতাগোডা এলাকায় সন্ত্রাসবাদীদের লুকিয়ে থাকার খবর পান নিরাপত্তা রক্ষীরা। তড়িঘড়ি ঘিরে ফেলা হয় এলাকাটি। তবে বোরখা পড়ে অনেক জঙ্গি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। মুখ ঢাকা থাকায় তাঁদের চিনতে পারেনি নিরাপত্তারক্ষীরা। তাই জঙ্গিরা যাতে ফের এভাবে পালাতে না পারে তাই বোরখা নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে সরকার। ইতিমধ্যে শ্রীলঙ্কার সংসদে বোরখার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার দাবি জানিয়ে প্রস্তাব পেশ করেছেন শাসকদল ‘ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি’র সাংসদ আশু মারাসিংঘে। 

Advertisement

উল্লেখ্য, প্রায় এক দশক বাদে গত রবিবার ফের সন্ত্রাসবাদী হামলায় কেঁপে উঠে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। বেশ কিছুদিন ধরে শ্রীলঙ্কায় রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছিল। এখনও দেশের প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনা ও প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংঘের মধ্যে সম্পর্ক ‘মধুর’ নয়। যে কোনও সময় রাজনৈতিক অস্থিরতা তীব্র হতে পারে। এইরকম একটা পরিস্থিতিতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ দ্বীপরাষ্ট্রটির মেরুদণ্ড কার্যত নড়িয়ে দিয়েছে। নড়েচড়ে বসেছে ভারতও। শ্রীলঙ্কায় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা নগণ্য। সন্ত্রাসবাদী হামলাটা যেভাবে চালানো হয়েছে, যেভাবে বিস্ফোরক গোটা দ্বীপরাষ্ট্রে জড়ো করা হয়েছিল সেটা যেমন আইএস-এর মতো একটি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ছাড়া করা সম্ভব ছিল না, তেমনই স্থানীয় কিছু লোকের যোগসাজশ ছাড়া এটা সম্ভব নয়। এই স্থানীয় যোগসাজশের বিষয়টিও নিকটতম প্রতিবেশী হিসাবে ভারতকে চিন্তায় রাখবে।     

[ক্রাইস্টচার্চের বদলা! শ্রীলঙ্কায় ধারাবাহিক বিস্ফোরণের দায় স্বীকার আইএসের]          

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ