Advertisement
Advertisement

Breaking News

সিনেমার কণামাত্র উপকরণ নেই, ‘বাংলা বই’ হয়েই থাকবে ‘অতিথি’

সিনেমা হলে যাওয়ার আগে জেনে নিন কেমন হল ছবিটি?

Read the review of director Sujit Paul's movie 'Atithi'
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:May 18, 2019 4:19 pm
  • Updated:May 18, 2019 4:19 pm

চারুবাক: নতুন পরিচালক সুজিত পাল। আধুনিক সিনেমার ব্যাকরণ জানার দায় বোধ তাঁর নেই। একটা গোলগাল ‘গপ্পো’ সাজিয়ে দেওয়ার দায় নিয়েই তিনি কাজে লেগে পড়েছেন। বাংলা ছবির সংখ্যাগুরু দর্শক একটি গোদা গল্প দেখা ও শোনার জন্য হলে ঢোকেন। এই সারসত্যটাই তাঁর ‘বই’ বানানোর একমাত্র মূলধন। গল্পটাও সরবরাহ করেছেন প্রযোজক নিজেই। সুতরাং দায়িত্বের অর্ধেকটা চলে গেল। এবার সেই গল্পকে সাজানোর পালা। সুজিত পাল গ্রাম্য পালার আকারেই সাজিয়েছেন। সিনেমার কণামাত্র উপকরণ নেই।

‘আশ্রয়’ নামের একটা অনাথ মানসিক প্রতিবন্ধীদের আশ্রমের বাসিন্দাদের গোল গোল গল্প জুড়েই চিত্রনাট্য। স্নিগ্ধা (ঋতুপর্ণা) ও অরিন্দম (প্রতীক) দু’জনেই ডাক্তার। তাঁরাই চালায় এই ‘আশ্রয়’। সোর্স অফ ইনকাম সম্ভবত ‘নেস্ট হসপিটাল’ নামের একটি সুসজ্জিত নার্সিংহোম যার মালিক স্নিগ্ধার বাবা (রজত)। ‘আশ্রয়’-এর বাসিন্দাদের খরচপাতি কে বা কারা দেয়, জানা যায় না। যেমন বোঝা যায় না অমন সাজানো-গোছানো হাসপাতালটাই বা চলে কী করে? সুজিত পালের চিত্রনাট্য এসব নিয়ে এক লাইনও খরচ করেনি। ফলে একটি ফ্রেমেও ওসব আলোচনার বিষয় হয়নি। গপ্পোর বিষয় হয়েছে দুর্ঘটনার ‘স্মৃতি’ হারিয়ে ফেলা দুই তরুণ-তরুণী অন্তিম আর অন্তরাকে নিয়ে। তাঁদের খুনসুটি, তাঁদের মধ্যে প্রেমের অঙ্কুরোদ্গম.. এইসব আর কী।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: দর্শক টানার মশলা থাকলেও শিবু-নন্দিতার ব্যতিক্রমী ছবি ‘কণ্ঠ’]

Advertisement

ঋতুপর্ণা-প্রতীক যখন রয়েছেন, সেখানে একটা নিরুচ্চারিত রোম্যান্টিক অ্যাঙ্গেল রাখতেই হয়। গল্পের ঘটনাস্থল মেন্টাল অ্যাসাইলাম। সুতরাং, দু-চার পিস রোগী তো রাখতেই হবে। তাই রয়েছেন বিশ্বনাথ বসু, তুলিকা বসু ও অরিন্দম বাগচিরা। এঁরা কিন্তু গল্পের রিলিফ হিসেবে মন্দ নন। কিন্তু মূল যে গল্প সেখানে অন্তিম-অন্তরা ও স্নিগ্ধা-অরিন্দমদের প্রেমের জোলো দৃশ্যগুলোর দর্শককে হাসির উপাদান জোগায় যে! এরই মধ্যে আবার ঢুকিয়ে দেওয়া হয় ভিলেন ডেভলপার শুভাশিসকে! অহো! কী নিদারুণ অপচয় একজন অভিনেতার।

ছবির শেষ পর্বে অতিথি নায়ক সোহম ঢুকে পড়ে লেখক-পরিচালকের সব সমস্যার ‘ইতি’ করে দেন। দর্শকও বাঁচেন হাঁফ ছেড়ে। এমন সাজানো বানানো চিত্রনাট্যে (যদি তা আদৌ লেখা হয়ে থাকে!) ঋতুপর্ণা শুধু সাজগোজ করে সুন্দরী সেজে আর চোখের মুভমেন্ট দিয়ে প্রেমের নীরব অভিব্যক্তি দিয়ে গেলেন। দুর্বল চিত্রনাট্যে সায়নী ঘোষ ও নতুন মুখ নিশান অবশ্য মন্দ অভিনয় করেননি। বেচারি প্রতীক সেন সেটুকুও পারলেন না। ‘অতিথি’ বাংলা ছবির তালিকায় ‘অতিথি’-র মতোই এল, হয়তো চলেও যাব।

[ আরও পড়ুন: অভিনয়ে ফুল মার্কস পেল কৌশিকের ‘জ্যেষ্ঠপুত্র’, আলাদা করে নজর কাড়লেন সুদীপ্তা ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ