Advertisement
Advertisement
সাধ্বী প্রজ্ঞা

ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী, বিতর্ক এড়াতে ‘মৌনব্রত’ পালনের সিদ্ধান্ত সাধ্বী প্রজ্ঞার

টুইটারে ২১ প্রহর ব্রত পালনের কথা ঘোষণা করলেন ভোপালের বিজেপি প্রার্থী৷

Sadhvi Pragya vows to not speak a word till Lok Sabha election results
Published by: Tanujit Das
  • Posted:May 20, 2019 7:29 pm
  • Updated:May 20, 2019 7:29 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোপালের প্রার্থী হিসাবে যখন থেকে তাঁর নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি, তখন থেকেই বিতর্ক তাঁর সঙ্গীতে পরিণত হয়েছে৷ সম্প্রতি নাথুরাম গডসেকে ‘দেশভক্ত’ বলে প্রধানমন্ত্রীর বিরাগভাজন হয়েছেন তিনি৷ তবে নির্বাচন মিটতে সুমতি ফিরল ভোপালের বিজেপি প্রার্থী সাধ্বী প্রজ্ঞার৷ বিতর্ক এড়াতে এবার ‘মৌনব্রত’ পালনের সিদ্ধান্ত নিলেন গেরুয়া শিবিরের বিতর্কিত এই নেত্রী৷

[ আরও পড়ুন: রাজস্থানের পাকিস্তান সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার ৫ সন্দেহভাজন ]

Advertisement

মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত বিজেপি প্রার্থী টুইটারে ঘোষণা করলেন, ‘‘ভোট প্রক্রিয়া অতিক্রান্ত, এখন ফলাফলের সময়৷ নির্বাচনী প্রচারে আমার কথা দেশপ্রেমের আবেগে আঘাত করে থাকলে, আমি ক্ষমা চাইছি৷ তাই ২১ প্রহর আমি মৌনব্রত পালনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি৷’’ ঘটনার সূত্রপাত, দক্ষিণী অভিনেতা তথা এমএনএম প্রধান কমল হাসানের একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে৷ তামিলনাড়ুর একটি জনসভায় গডসেকে ‘স্বাধীন ভারতের প্রথম সন্ত্রাসবাদী ’ বলে দাবি করেন তিনি৷ কমল হাসানের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই গডসেকে ‘দেশভক্ত’ বলে পালটা দাবি করেন সাধ্বী৷ তাঁর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তুঙ্গে ওঠে রাজনৈতিক তরজা৷ সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকে আক্রমণ করেন ভোপাল লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী দিগ্বিজয় সিং। বিজেপিকে আক্রমণ করেন অন্যান্য কংগ্রেস নেতারাও। চাপে পড়ে অবশেষে বিজেপির উত্তরপ্রদেশের মিডিয়া ইনচার্জ লোকেন্দ্র পরাসর জানান, নাথুরাম গডসে সম্পর্কে সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর যা বলেছেন, সেটি তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। বিজেপি তাঁর মন্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করে না৷ এরপরই ক্ষমা চান প্রজ্ঞা৷ জানান, দলের সিদ্ধান্তই তাঁর সিদ্ধান্ত৷

Advertisement

[ আরও পড়ুন: বাড়ির সামনে দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত জম্মু-কাশ্মীরের পিডিপি নেতা ]

এমনকী, প্রচারের শেষ লগ্নে এই ইস্যুতে নীরবতা ভাঙেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও৷ কড়া ভাষায় সাধ্বী প্রজ্ঞার বক্তব্যের সমালোচনা করেন তিনি৷ পরিষ্কার জানান, গান্ধীজিকে নিয়ে ভোপালের বিজেপি প্রার্থী যে মন্তব্য করেছেন, তা ক্ষমার অযোগ্য৷ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘গান্ধীজিকে অপমান করায়, আমি কোনওদিন প্রজ্ঞা ঠাকুরকে ক্ষমা করতে পারব না৷’’ বিজেপি সভাপতি অমিত শাহও কড়া ভাষায় সাধ্বীর নিন্দা করেন৷ এবং জানান, তাঁকে শোকজ নোটিস পাঠিয়েছে বিজেপি৷ দশ দিনের মধ্যে উত্তর চাওয়া হয়েছে প্রজ্ঞার কাছে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ