Advertisement
Advertisement

Breaking News

জ্যোতির্ময়

মানভূমে পদ্মঝড় তুলে দিল্লিতে মন্ত্রিত্বের পথে জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো

রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের কর্মী থেকে পদোন্নতি বিজেপি প্রার্থীর৷

Jyotirmoy Sing Mahato is now set to become cabinet minister
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:May 23, 2019 10:00 pm
  • Updated:May 23, 2019 11:52 pm

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: রুখুশুখু মাটিতে এ যেন এক অন্য ‘আঁধি’৷ যে আঁধি শুধু তীব্র গতিতে ধেয়ে আসা ধূলিকণার ঝড় নয়। এই ঝড় জঙ্গলমহলে এক নতুন দিগন্তের। যে দিগন্ত খুলে দেওয়ার প্রধান দায়িত্ব নিয়েছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাজ্য রাজনীতিতে আনকোরা, জয়ী বিজেপি প্রার্থী সেই জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোই বনমহলে আঁধি তুলে রুখাশুখা মাটিতেও ফুটিয়ে দিলেন পদ্ম। তাই তিনি এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্বেরও দাবিদার।

[আরও পড়ুন: নেত্রীর ভরসা রাখলেন মিমি-নুসরত, বিপুল ভোটে জয়ী তৃণমূলের নতুন তারকা প্রার্থীরা]

আসলে ভোট প্রচারে এসে তাঁকে জেতাতে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের কাছে তাঁকে মন্ত্রী করার ইঙ্গিত দিয়ে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব৷ তাই প্রায় দু’লাখের বেশি ভোটে বিজেপি প্রার্থীর জয়ের পর এখন মন্ত্রিত্বের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে জঙ্গলমহলের এই জেলা। জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো কৃষক পরিবারের ছেলে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর প্রচারে এসে চৌত্রিশ বছরের এই তরুণকে তিন-তিনবার পিঠ চাপড়ানি দিয়ে বলেছিলেন,‘‘দিল্লি আপকে সাথ মে হ্যায়। হামে খবর হে আপ জিতো গে। পুরুলিয়া কো আগে বড়ানা হে।’’ তারপরই এই কৃষক পরিবারের ছেলে যেন আচমকাই ‘হেভিওয়েট’  বনে যান। বৃহস্পতিবার বনমহল থেকে বিপুল জয় পাওয়ার পর স্বয়ং নরেন্দ্র মোদিও তাঁকে মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে অভিনন্দন জানান।

Advertisement

আসলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকে বঙ্গ বিজেপির জন্য আশা দেখায় এই পুরুলিয়া৷ সেই পথের শরিক আরএসএসের এই হাফপ্যান্ট পরা ছেলেটাই। ঝালদা এক নম্বর ব্লকের পুস্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের পাতরাডি গ্রামে তাঁর বড় হয়ে ওঠা। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পুস্তি হাইস্কুলেই লেখাপড়া। তারপর জারগো হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক, রাঁচি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে গোসনার কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক। কিন্তু ক্লাস ইলেভনে পড়ার সময় থেকেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সদস্য বনে যান জ্যোতির্ময়। খাকি হাফপ্যান্ট আর সাদা জামা পরে সংগঠনের কাজে ডুবে যান। পুরুলিয়ায় এই সংগঠনের জেলা সংযোজক,  জেলা প্রমুখ ছাড়াও ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশাতেও তাঁকে কাজে লাগায় আরএসএস। এরই মধ্যে ওড়িশার সম্বলপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত রাউরকেল্লা কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রি পান। তারপরই তাঁকে পুরুলিয়া জেলার যুব মোর্চার দায়িত্ব দেয় বিজেপি৷

Advertisement

[আরও পড়ুন: কঠোর পরিশ্রমের ফল পেলেন মহুয়া, কঠিন ম্যাচে হার কল্যাণ চৌবের]

পরে ওই সংগঠনের জেলা সাধারণ সম্পাদক থেকে যুব সভাপতি হন। এখন অবশ্য দলের জেলা সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। গণনাকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘বিহার থেকে বাংলায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে পুরুলিয়ার জন্মের পর দিল্লির সংসদে দাঁড়িয়ে এই জেলার উন্নয়নে একটা কথাও কেউ বলেননি। এবার আমার মাতৃভূমির কথা বলে এই জেলাকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যাব।’  ফলাফল শেষে দুই আঙুলে জয়ের চিহ্ন দেখিয়ে সন্ধের পর জনস্রোতে মিশে যান সেই খাকি রঙের হাফপ্যান্ট পরা ছেলেটা, পুরুলিয়ার ভাবী সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো।

ছবি: সুনীতা সিং৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ