Advertisement
Advertisement
ন্যাড়া

জিতবেন না মোদি, বাজি ধরে মাথা ন্যাড়া করতে হল কংগ্রেস সমর্থককে

ওই কংগ্রেস সমর্থকের নাম বি এল সেন।

Congress worker shaves head after losing bet against BJP worker.
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:May 25, 2019 7:49 pm
  • Updated:May 25, 2019 7:49 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটগ্রহণের পর বাজি ধরেছিলেন মোদি হারবেন। কিন্তু, ফলাফল প্রকাশ পাওয়ার পর দেখা যায় আরও শক্তিশালী হয়েছেন মোদি। দেশব্যাপী বহরে বেড়েছে বিজেপিও। এর পরেই প্রতিশ্রুতি মতো মাথা ন্যাড়া করলেন এক কংগ্রেস সমর্থক। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের রাজগড় এলাকায়। ওই কংগ্রেস সমর্থকের নাম বি এল সেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজগড়ের এক বিজেপি সমর্থকের সঙ্গে লোকসভা নির্বাচন নিয়ে বাজি ধরেছিলেন ওই কংগ্রেস সমর্থক। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস বিপুল ভোটে জয়ী হবে বলে আশা করেছিলেন তিনি। ভেবেছিলেন, নরেন্দ্র মোদিকে পরাজিত করে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসবেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু, এক বিজেপি সমর্থক বলেছিলেন ক্ষমতায় মোদির ফেরা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। প্রথমে দু’জনের মধ্যে এই বিষয় নিয়ে কিছুটা তর্কাতর্কি হয়। তারপর তাঁরা ঠিক করেন যে রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হলে ওই বিজেপি সমর্থক আর নরেন্দ্র মোদি হলে ন্যাড়া হবেন বি এল সেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন- সিনিয়রদের হেনস্তা, জাত তুলে কটূক্তির জেরে আত্মঘাতী মহিলা চিকিৎসক]

গত ২৩ তারিখ লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশ পেতেই দেখা যায়, বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ। পাঞ্জাব ও কেরালা ছাড়া প্রতিটি রাজ্যেই কংগ্রেসকে টপকে বেশি আসন জিতেছে বিজেপি। ইতিহাস গড়ে অকংগ্রেসি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় বসছেন নরেন্দ্র মোদি। এরপরই নিজের প্রতিশ্রুতি মতো মাথা ন্যাড়া করলেন বি এল সেন। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা বাজি ধরেছিলাম যে মোদি প্রধানমন্ত্রী হলে আমি ন্যাড়া হব। আর রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হলে ও ন্যাড়া হবে। এখন আমার দল হেরে গিয়েছে তাই আমি ন্যাড়া হলাম।” 

Advertisement

[আরও পড়ুন- হারের দায় নিয়ে পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ রাহুলের, বাদ সাধল দল]

নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক দলগুলি একে-অপরের বিরুদ্ধে তোপ দাগে। কিন্তু, নির্বাচন মিটে যাওয়ার পরে সেসব ভুলে সৌজন্যতার নামে নিজেদের সম্পর্ক দৃঢ় করার প্রচেষ্টা চালান রাজনৈতিক নেতারা। কিন্তু, ফাঁপরে পড়ে যান রাজনৈতিক দলগুলির নিচুতলার কর্মী-সমর্থকরা। দলের নীতি ও আদর্শ মেনে নিয়মনিষ্ঠ থাকার চেষ্টা করেন। যদিও তাঁদের আত্মত্যাগের কোনও মূল্য দিতে দেখা যায় না নেতাদের!

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ