Advertisement
Advertisement

Breaking News

মহাবিষুবের সময় সূর্যের প্রথম কিরণ পড়ে এইখানেই

রাবণ বধের পর নাকি এখানেই ব্রহ্ম হত্যার পাপমোচনের জন্য যজ্ঞ করেছিলেন রামচন্দ্র৷

Modhera Sun Temple in Gujrat
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 23, 2016 7:36 pm
  • Updated:October 23, 2016 7:36 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সময়ের হিসেব করা বড় মুশকিল৷ সেই কবে মাহমুদ গজনী আক্রমণ করেছিলেন৷ অনেকটাই ধ্বংস করে দিয়েছিলেন৷ তবু আজও মহাবিষুবের সময় সূর্ষের প্রথম কিরণ পড়ে মোধেরার সূর্য মন্দিরে খোদিত সূর্যবেদীর উপর৷ শতাব্দী প্রাচীন ইতিহাসের সম্ভার নিয়ে এভাবেই দাঁড়িয়ে রয়েছে গুজরাটের এই ঐতিহ্যবাহী মন্দির৷ শুধু শ্রদ্ধা নয়, ইতিহাসের অনন্য কীর্তির সাক্ষী হতে প্রতি বছর এখানে আসেন হাজার হাজার পর্যটক৷

14054211_345988892398808_1841744343426581627_n

Advertisement

ইতিহাস –

Advertisement

স্কন্দ পূরাণ ও ব্রহ্ম পূরাণ অনুযায়ী এই মোধেরাই সেই ধর্মারণ্য৷ রাবণ বধের পর যেই স্থানে ব্রহ্ম হত্যার পাপমোচনের জন্য যজ্ঞ করেছিলেন৷

modhera-sun-temple

কী দেখবেন –

তিন ভাগে বিভক্ত সোলাঙ্কিবংশের রাজা প্রথম ভীমদেবের তৈরি এই মন্দির৷

১) গুঢা মন্ডপ – বিশাল হলঘর ও গর্ভগৃহ সম্বলিত এই মন্ডপের কারুকার্য দেখার মতো৷ উপরের ছাদটি গম্বুজাকৃতি৷ পাঠানদের আক্রমণের সময় এটিই সোলাঙ্কি রাজাদের প্রধান মন্ত্রণালয় ছিল৷ ভিতরে একটি লম্বা সুড়ঙ্গও রয়েছে৷

২) সভা মন্ডপ – মোট ৫২টি স্তম্ভ রয়েছে এই মন্ডপে৷ বছরের ৫২ সপ্তাহের জন্য নিবেদিত এই স্তম্ভগুলিতে খোদাই করা হয়েছে রামায়ণ, মহাভারত, কৃষ্ণলীলার নানা গাথা৷

৩) রামকুণ্ড অথবা সূর্যকুণ্ড – মোধেরার প্রধান আকর্ষণ৷ আয়তকার এই জলাশয়ের চারদিকে রয়েছে কারুকার্যমন্ডিত সিড়ি৷ রয়েছে বিষ্ণু, গণেশ, শিব ও শীতলা দেবীর মন্দির৷ জলাশয়ের জলকে খুবই পবিত্র মনে করেন স্থানীয়রা৷

14390758_1376193945743942_4148566649358161206_n

কীভাবে যাবেন –

  • বিমানে গেলে নামতে হবে ১০২ কিলোমিটার দূরে আহমেদাবাদে৷
  • আহমেদাবাদ থেকে লোকাল ট্রেনে করেই যাওয়া যায় মোধেরা৷ নামতে হয় ১৬ কিলোমিটার দূরে বেচারাজী স্টেশনে৷
  • আহমেদাবাদ ও মাহেসেনা থেকে বাসে করেও যাওয়া যায় মোধেরা সূর্য মন্দিরে৷

14089047_1082913181793497_7570412434835991461_n

কোথায় থাকবেন –

সাধারণত একদিনের জন্যই মোধেরায় যান পর্যটকরা৷ তাই তেমন হোটেল বা রিসর্টের ব্যবস্থা নেই এখানে৷ তবে আহমেদাবাদ ও মাহেসেনায় থাকার ব্যবস্থা রয়েছে৷

1

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ