Advertisement
Advertisement

Breaking News

পরিবহ মুখোপাধ্যায়

স্মৃতিশক্তি লোপ পাচ্ছে পরিবহর, দাবি জুনিয়র চিকিৎসকদের

অনুমতি ছাড়া পরিবহকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ নয়, স্পষ্ট বার্তা চিকিৎসকদের।

Doctor says, Paribaha Mukherjee's health condition improved
Published by: Sayani Sen
  • Posted:June 16, 2019 9:51 am
  • Updated:June 16, 2019 10:30 am

স্টাফ রিপোর্টার: তাদের বন্ধু সহপাঠী পরিবহ মুখোপাধ্যায়কে যারা মারধর করেছে তাদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। এমন দাবিতেই আন্দোলন করছেন নীলরতনের জুনিয়র ডাক্তাররা। হামলাকারীদের ধরতে তবে কি পুলিশ পরিবহর সঙ্গে কথা বলবে? এমন জল্পনা চলছিল। কিন্তু নিউরো সায়েন্সের পক্ষ থেকে শনিবার জানিয়ে দেওয়া হল, এখনই পরিবহকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে না পুলিশ।

[ আরও পড়ুন: এনআরএস কাণ্ড LIVE: রবিবার সকাল ১০টায় বৈঠকে বসছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা]

গত সোমবার রাতে মহম্মদ শহিদ নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যুতে গাফিলতির অভিযোগ ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এনআরএস চত্বর। জুনিয়র ডাক্তারদের মারধরের অভিযোগ ওঠে মৃত রোগীর পরিজনদের বিরুদ্ধে। মারধরে গুরুতর জখম হন এনআরএসের জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ মুখোপাধ্যায়। পরিবহের মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। এ ঘটনায় জখম হন আরেক জুনিয়র চিকিৎসক যশ টেকওয়ানি। প্রতিবাদে আন্দোলনে নামেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তার জেরে ৫ দিন ধরে চলছে কর্মবিরতি। ইতিমধ্যেই সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গ্রেপ্তার করা হয়েছে পাঁচজনকে। যদিও নীলরতনের জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, স্রেফ পাঁচজনই নয়, ঘটনার সময় উপস্থিত সকলকেই গ্রেপ্তার করতে হবে। কঠিন শাস্তি দিতে হবে। এরপরেই জল্পনা চলতে থাকে। তবে কি পরিবহকে প্রধান সাক্ষ্য ধরে তাকেই জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ। কারণ রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে যেমন দাবি করা হচ্ছে যে জুনিয়র ডাক্তাররাই আগে গায়ে হাত তুলেছে। তেমন জুনিয়র ডাক্তাররাও বলছেন, দু’লরি বহিরাগত এসে ঝঞ্ঝাট তৈরি করেছে এনআরএসে।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: ‘ওঁরা ছোট, ওঁদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক’, ডাক্তারদের ফের বৈঠকে বসার অনুরোধ মুখ্যমন্ত্রীর]

এমতাবস্থায় সেদিন রাতে ঠিক কী হয়েছিল তা বলতে পারবে, নীলরতনের আহত ছাত্রই। কিন্তু আপাতত সে সম্ভাবনাতে জল ঢেলে দিলেন ইনস্টিটিউট অফ নিউরো সায়েন্সের মেডিক্যাল সুপার প্রসেনজিৎ বর্ধন রায়। শনিবার তিনি বলেন, পুলিশ চাইলেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে না। সংশ্লিষ্ট ডাক্তারদের অনুমতি নিতে হবে। হৃষিকেশ কুমারের নেতৃত্বে যে ছয় সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড তাঁকে দেখছে তাঁরা অনুমতি দিলে তবেই জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি পাওয়া যাবে। অত্যন্ত বিনয়ী ওই তরুণের বাবা অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক। মঙ্গলবার ভোর থেকেই তাঁর দিদি মল্লিকবাজারের হাসপাতালে। অসুস্থ মা-বাবাকে এখনও আনা হয়নি সেখানে। তাঁর করোটিতে গভীর ক্ষত হয়েছে। ঘটনার পরের দিনই পরিবহর মাথায় অস্ত্রোপচার হয়। আপাতত তিনি পর্যবেক্ষণে। এদিন সুপার বলেন, পরিবহর এই মুহূর্তে শারীরিক কোনও অসুবিধে নেই। তবে পরিবহর সহপাঠীদের দাবি, ধীরে ধীরে স্মৃতিশক্তি লোপ পাচ্ছে তাঁর৷  

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ