Advertisement
Advertisement

Breaking News

কবীর সিং

বাস্তবতার বড় অভাব, অভিনয়ের জোরেই ‘কবীর সিং’কে টেনে নিয়ে গেলেন শাহিদ

সিনেমা হলে যাওয়ার আগে জেনে নিন কেমন হল ছবিটি।

Kabir Singh movie review: weak storyline, compact acting
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:June 21, 2019 5:44 pm
  • Updated:June 21, 2019 7:08 pm

বিশাখা পাল: যিনি ‘অর্জুন রেড্ডি’ পরিচালনা করেছিলেন, তিনিই বানিয়েছেন ‘কবীর সিং’। ফলে দক্ষিণী ছবির যে প্রতিফলন হিন্দি ছবিতে থাকবে, তাতে আর সন্দেহের অবকাশ কোথায়? কিন্তু দক্ষিণী ছবির রিমেক হতে গিয়ে কোথাও যেন দিশা হারিয়ে ফেলেছে গল্প। মারকাটারি অ্যাকশন আর গদগদ রোম্যান্সের মাঝে গল্পটা নেহাত টিমটিম করে জ্বলছে। তবে শাহিদ অনুরাগী হলে অবশ্যই দেখে আসা যায় ‘কবীর সিং’। কারণ, গোটা সিনেমাজুড়ে এক শাহিদ ব্যতিত আর কিছুই দেখার নেই।

অভিনয়ের দিক থেকে বরাবরই প্রথম সারিতে থাকেন শাহিদ কাপুর। ‘হায়দার’ বা  ‘উড়তা পঞ্জাব’-এর মতো ছবিতে তাঁর অভিনয় দর্শকের নজর কেড়েছিল। তবে এই ছবিটির কথা স্বতন্ত্র। অভিনয় নিয়ে এই অভিনেতার দিকে প্রশ্নের আঙুল তোলা ধৃষ্টতা। কিন্তু এই ‘কবীর সিং’ শাহিদের কাছে ঋণী হয়ে থাকবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। বলতে দ্বিধা নেই, দর্শকমনে ‘কবীর সিং’ যদি ছাপ ফেলতে পারে, তবে তার পুরো কৃতিত্বটাই শাহিদের। একাই ঘাড়ে করে ছবি এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন তিনি। কিয়ারা ছবিতে নামমাত্র আছেন। বলা যায়, ছবির প্রপস হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে তাঁকে। অভিনয়ের দিক থেকে শাহিদের ধারেকাছেও ঘেঁষতে পারেননি তিনি। অনেক পরিণত হতে হবে কিয়ারাকে। গোটা ছবিতে অনেক জায়গাতেই তাঁর অভিনয় মেকি লেগেছে।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: চিত্রনাট্যের অতিনাটকীয়তায় তেমন উপভোগ্য হল না ‘শেষ থেকে শুরু’ ]

Advertisement

ছবির গল্প নিতান্তই সাদামাটা। বদরাগী যুবক কবীরের প্রেমে পড়া আর সেই প্রেমকে পাওয়ার গল্প দেখানো হয়েছে গোটা ছবিতে। যুবাবয়সের প্রেম এমনিতেই বাঁধনছাড়া। তার উপর কবীর গতানুগতিক ছেলেদের থেকে একটু আলাদা। আদিমতার ঝাঁজ রয়েছে তার মধ্যে। তাই প্রেমিকাকে অন্য কেউ ছুঁলে সে সহ্য করতে পারে না। নিজেকে নিয়েও সে প্রতিবাদী। কিন্তু প্রীতিবিহনে এমন প্রতিবাদী কবীর বদলে যায়। অ্যালকোহল, ড্রাগ আর সিগারেটের মধ্যে নিজের জগৎ খুঁজে নেয়। ক্লাইম্যাক্সে অবশ্য একটি চমক রয়েছে। এই জার্নিটাই উঠে এসেছে ‘কবীর সিং’-এর গল্পে।

ছবিটি আদ্যোপান্ত বিনোদনে ঠাসা। সিনেমা দেখতে দেখতে আবেগ-অনুভূতি সবই আসবে। কিন্তু মগজে ঢুকবে না। কারণ ছবিতে বিনোদনের সব উপাদান থাকলেও মাথাটাই খাটানো হয়নি। একজন ডাক্তারি ছাত্র কীভাবে ভালবাসার জন্য নিজেকে, নিজের কেরিয়ারকে নিজের হাতে শেষ করে দিতে পারে তার জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ কবীর সিং। সাধারণত ডাক্তারি ছাত্ররা অনেক বেশি লজিক্যাল হয়। বিশেষত এই একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে একজন ডাক্তার ভাববে না যে এত কষ্ট করে যে ডিগ্রিটা সে অর্জন করল, তা অসম্পূর্ণ প্রেমের জন্য জলাঞ্জলি যাবে? কবীরকে এখানে প্রেমে পাগল প্রেমিক তো মনে হয়ইনি, বরং কোথাও কোথাও মনে হয়েছে চরিত্রটি নেহাতই বোকা বোকা। একটু বুদ্ধি দিয়ে বিচার করে না। চিত্রনাট্যের দুর্বলতা এখানেই। ছবির প্রথমার্ধে গাড়ি গড়গড়িয়ে চললেও দ্বিতীয়ার্ধে অত্যন্ত ধীর। যেন মনে হয়, ইলাস্টিকের মতো টেনেটুনে ছবিটিকে বাড়ানো হয়েছে।

[ আরও পড়ুন: ‘কিডন্যাপ’-এ নজর কাড়লেন রুক্মিনী, তবে ছবি জমল কি? ]

গোটা গল্পে বাস্তবতার বড় অভাব। তার উপর ছবির শেষে দেখা যাবে কবীরের সেই গার্লফ্রেন্ড, যার নাকি বিয়ে হয়ে গিয়েছিল অন্যের সঙ্গে, সে কবীরেরই সন্তানের মা হতে চলেছে। বিষয়টা একটু অবাস্তব ঠেকে না কি? না হয়, তর্কের খাতিরে মেনে নেওয়া গেল বিয়ের আগেই সে গর্ভবতী ছিল। কিন্তু তাই যদি হবে, তাহলে কোনও সন্তানসম্ভবা মহিলা নিজের ইগো আঁকড়ে ধরে মাসের পর মাস কাটায় কী করে? পরিচালকের বোধহয় আরও একটু বাস্তববুদ্ধির পরিচয় দেওয়ার দরকার ছিল।  

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ