Advertisement
Advertisement
নরেন্দ্র মোদি

সংসদে গরহাজির, মন্ত্রীদের তালিকা তলব ক্ষুব্ধ মোদির

মন্ত্রীদের গরহাজিরায় উষ্মা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

PM Modi asks details of ministers absent from Parliament
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:July 17, 2019 11:54 am
  • Updated:July 17, 2019 7:23 pm

নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিজেপির সমস্ত সাংসদের সংসদে নিয়মিত হাজিরা নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার অধিবেশন শুরুর আগে বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে সংসদের দুই কক্ষেই মন্ত্রীদের গরহাজিরায় উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি। কাজের তালিকা অনুসারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের যে মন্ত্রীদের অধিবেশনে হাজির থাকার কথা থাকলেও উপস্থিত ছিলেন না, তাঁদের তালিকা এদিন বিকেলের মধ্যেই চেয়ে পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

[আরও পড়ুন: ম্যারাথন মহাকাশ অভিযানের পথে ভারত, চন্দ্রযান ৩-এর প্রস্তুতিও শেষ ইসরোর]

Advertisement

রাজনৈতিক সূত্রের খবর, সংসদের দুই কক্ষেই মন্ত্রীদের হাজিরা নিয়ে বিরোধীদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশ জমা পড়েছে। আর তাতেই আরও ক্ষুব্ধ তিনি। প্রধানমন্ত্রীর এদিনের মন্তব্যের পর স্বাভাবিকভাবেই হইচই বিজেপির অন্দরে। মোদির তালিকা চেয়ে পাঠানোর নির্দেশের পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে অনেকের কপালেই দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। তালিকা হাতে পাওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেবেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যে গেরুয়া শিবিরে চাপা গুঞ্জন শুরু হয়ে গিয়েছে। এই নিয়ে চলতি মাসে দু’বার দলীয় সাংসদদের সংসদে হাজিরার বিষয়ে সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথমবার সুর নরম ছিল। এদিন তিনি রীতিমতো কড়া ভাষাতেই বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। দলীয় সাংসদদের সংসদে হাজির থাকার জন্য সপ্তদশ লোকসভার অধিবেশনের শুরুর দিন থেকেই বার্তা দিয়ে আসছেন মোদি। তারপরেও হেলদোল না থাকায় তা একেবারেই ভাল চোখে দেখছেন না তিনি। ২ জুলাই সংসদীয় দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট বলে দিয়েছিলেন, সংসদে হাজিরা, বিতর্ক ও প্রশ্নোত্তরপর্বে অংশ গ্রহণ, সংসদীয় কমিটিতে তাদের কাজকর্ম সবকিছু দেখার পরেই বিচার বিবেচনা করে মন্ত্রিপদ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ঝাড়ফুঁকের নামে হাসপাতালেই নগ্ন করা হল যুবতীকে, প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা]

এদিন প্রধানমন্ত্রী দলীয় সাংসদদের একগুচ্ছ পরামর্শও দিয়েছেন। যেমন, সাংসদদের নিজের এলাকার জন্য উদ্ভাবনীমূলক পরিকল্পনা, সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করা ইত্যাদি। দেশের ১১৪টি পিছিয়ে পড়া জেলার উপর বিশেষভাবে নজর দেওয়া এবং সেখানে কাজকর্ম করার উপরেও সাংসদদের জোর দিতে বলেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর নেতৃত্বে এদিন সংসদীয় দলের বৈঠক হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ