Advertisement
Advertisement
রোহিঙ্গা

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের

মায়ানমারের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ বাংলাদেশের।

UN chief: Trying best to find a solution to Rohingya crisis

রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও বাংলাদেশের ডঃ এ. কে. আবদুল মোমেন।

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:July 18, 2019 7:18 pm
  • Updated:July 18, 2019 7:18 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। গত মঙ্গলবার বিকেলে নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সদর দপ্তরে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে একটি বৈঠক করেন তিনি। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আমেরিকায় সফররত বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ডঃ এ. কে. আবদুল মোমেন।

[আরও পড়ুন-রোহিঙ্গা নির্যাতন ইস্যুতে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের প্রতিনিধি দল]

দ্বিপাক্ষিক এই বৈঠকে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে রাষ্ট্রসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলির কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন। এর উত্তরে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জানান, এই সংকটের সমাধানের জন্য তিনি সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া বৈঠকে রোহিঙ্গা সংক্রান্ত বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘ-সহ আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলির করণীয় কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়।

Advertisement

বাংলাদেশ বিদেশমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকের মধ্যে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের জনগণের উদারতা এবং মানবিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ধন্যবাদ জানান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্বজুড়ে অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ। নেওয়া হয়েছে দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী দিবস পালনেরও। এই অনুষ্ঠানগুলিতে রাষ্ট্রসংঘের পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে আন্তোনিও গুতেরেসকে অংশ নেওয়ার অনুরোধ করেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ডঃ এ. কে. আবদুল মোমেন। রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এ বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘের দপ্তরে যে অনুষ্ঠানগুলির আয়োজন করবে তাতে অংশ নেওয়ারও আবেদন জানান।

Advertisement

[আরও পড়ুন- জটিলতার অবসান, নিজের শহর রংপুরেই সমাধিস্থ এরশাদ]

এর আগে জুন মাসের ১৩ তারিখ, বাংলাদেশের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়র আলমের সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বৈঠক করেছিলেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব। সেখানেও রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে মায়ানমার দেরি করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন আন্তোনিও গুতেরেস। ওই বৈঠকে বাংলাদেশের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে বর্তমান তথ্য তুলে ধরেন। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে মায়ানমার সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের যে চুক্তি হয়েছিল তাও উল্লেখ করেন। জানান, রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ সবরকম উদ্যোগ নিলেও মায়ানমারের সদিচ্ছার অভাব আছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ