Advertisement
Advertisement

Breaking News

অস্ত্র

দুর্গাপুরে বেআইনি অস্ত্র ও বোমা কারখানার হদিশ, পুলিশের জালে ব্যবসায়ী

দীর্ঘদিন ধরেই বোমা তৈরির কারখানা চালাচ্ছিল ওই ব্যবসায়ী।

Arms factory busted in durgapur's faridpur area, one held
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:July 20, 2019 8:31 pm
  • Updated:July 20, 2019 8:31 pm

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: একটা ‘পেটো’ মাত্র ৫০ টাকা। দশটার বেশি কিনলে মেলে পাইকারি দরে। যদিও গুণমান অনুযায়ী পালটায় দাম। যে বোমার তীব্রতা যত বেশি, তার দাম ততই বেশি। শুধু তাই নয়। টাকা ফেললেই পাওয়া যাবে দেদার আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। শুধু যোগাযোগ করতে হবে দুর্গাপুর ফরিদপুর থানার লাউদোহার কালিনগরের বাসিন্দা ইব্রাহিম শেখের সঙ্গে। এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে রমররিয়ে ব্যবসা চালালেও অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল অভিযুক্ত।

[আরও পড়ুন:  বেআইনি অস্ত্র মজুতের অভিযোগ, পুলিশের জালে ২ বিজেপি নেতা]

সূত্রের খবর, বোমা তৈরির কারখানা রয়েছে ইব্রাহিম শেখের। পাশাপাশি, আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রের ডিলারও সে। জানা গিয়েছে, চাহিদা অনুযায়ী বীরভূম, ঝাড়খন্ড কিংবা বিহারে পাইপগান, পিস্তল সাপ্লাইও করত ইব্রাহিম। স্বয়ংক্রিং আগ্নেয়াস্ত্র থেকে হাতে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র যা চাওয়া যায় দিন তিনেকের মধ্যে তা ক্রেতার কাছে হাজির করে দেয় সে। চাহিদা মোতাবেক জিনিস ক্রেতার হাতে তুলে দিয়ে তবেই পেমেন্ট নেয়। আর অর্ডার অনুযায়ী বোমা তৈরির জন্য কারখানায় ১৫ জন শ্রমিকও রয়েছেন। শ্রমিকরা বেশিরভাগই বীরভূমের বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

Advertisement

কারা গ্রাহক এই আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমার? দুর্গাপুর ফরিদপুর থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মুলত রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরাই ইব্রাহিম শেখের খদ্দের। তাই একের পর একভোট থাকায় ইব্রাহিমের ব্যাপক কদর ছিল রাজনৈতিক দলগুলির কাছে। দেদার বিক্রি হয়েছে বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র, পুলিশি জেরায় এমনটাই জানিয়েছে ইব্রাহিম।

Advertisement

কেন এই ব্যবসায় এল ইব্রাহিম শেখ? পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর কুড়ি আগে ইব্রাহিমের বাবা শেখ ইলিয়াস বেআইনি কয়লা পাচার সংক্রান্ত বিবাদের জেরে খুন হন। তখন ইব্রাহিমের বয়স আট বছর। এরপরই অন্ধকার জগতের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু তার। বছর দশেক আগে বোমা বাঁধতে গিয়েই ডান হাতের আঙুল উড়ে যায় ইব্রাহিমের। দুটো চোখও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এরপর নিজে হাতে বোমা তৈরি না করে কারখানাই খুলে ফেলে ইব্রাহিম শেখ। গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে শুক্রবার ফরিদপুর থানার পুলিশ ইব্রাহিমের কালিনগরের বাড়িতে হানা দেয়। ঘরেই ছিল ইব্রাহিম শেখ। তাকে জেরা করে তার ঘরে গোয়াল ঘর থেকে ৮ এমএম পাইপগান ও ৮ টি কার্তুজ উদ্ধার করে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: পরকীয়ার কাঁটা সরাতেই স্বামীকে খুন, পুলিশের উপস্থিতিতে ঘটনার পুনর্নির্মাণ ধৃত স্ত্রীর]

আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি-১ (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা জানান, “বোমা কারখানা ও আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবসার কথা স্বীকার করে নিয়েছে অভিযুক্ত। তাকে হেফাজতে নিয়ে সেই কারখানা-সহ আগ্নেয়াস্ত্র কোথা থেকে কেনা হত, কাকে কাকে সরবরাহ করা হত তা বিস্তারিত জানা হবে।” সূত্রের খবর, ধৃত ইব্রাহিম শেখকে শনিবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে তাকে সাতদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ