Advertisement
Advertisement

Breaking News

গাছ কাটা

টাকার লোভে স্কুলে অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগ, কাঠগড়ায় প্রধান শিক্ষিকা

প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে সরব পরিবেশপ্রেমীরা।

Head mistress allegedly cuts some tree from school premises
Published by: Sayani Sen
  • Posted:July 20, 2019 7:34 pm
  • Updated:July 20, 2019 7:34 pm

রাজা দাস, বালুরঘাট: কাউকে কিছু না জানিয়ে বিনা অনুমতিতে শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের ১১টি বড় গাছ কাটার অভিযোগ উঠল প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। ব্যক্তিগত মুনাফায় গাছগুলি কাটা হয়েছে বলেই দাবি সকলের। দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমন্ডি গ্রাম পঞ্চায়েতের তেঁতুলপুকুর এলাকার শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে সরব এলাকার মানুষ ও পরিবেশপ্রেমীরা।

[ আরও পড়ুন: বেআইনি অস্ত্র মজুতের অভিযোগ, পুলিশের জালে ২ বিজেপি নেতা]

চারিদিকে পানীয় জল সংকটের কথা মাথায় রেখে চলছে বৃক্ষরোপণ। জোর দেওয়া হয়েছে প্রকৃতি রক্ষায়৷ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতেও একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে৷ তারই মাঝে কুশমন্ডি ব্লকের স্থানীয় গ্ৰাম পঞ্চায়েতের তেঁতুলপুকুর শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে অবৈধভাবে চলছে গাছ কাটা। ওই কেন্দ্রে দেড়শোজন পড়ুয়া এবং শিক্ষিকা রয়েছেন মাত্র তিনজন। প্রধান শিক্ষিকা সালমা বেগম ব্লক প্রশাসনকে অন্ধকারে রেখে গাছ কেটে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। স্কুল প্রাঙ্গণে থাকা পাঁচটি মেহগনি, চারটি কদম-সহ মোট এগারোটি গাছ কাটতে বনদপ্তরের অনুমতি নেওয়া হয়নি বলেই দাবি স্থানীয়দের৷

Advertisement

ইরফান আলি, মমতাজ আলির মতো স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কোনও সরকারি আধিকারিকের অনুমতি না নিয়ে গাছ কেটেছেন শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের প্রধান শিক্ষিকা সালমা বেগম। ব্যক্তিগতভাবে পকেট ভরানোর উদ্দেশ্যে গাছ কাটার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। তবে গাছ কাটতে বাধা দেওয়া হয়। গাছ কাটার আগে ব্লক প্রশাসন ও বনদপ্তরকে জানানোর পাশাপাশি টেন্ডার ও অন্যান্য প্রক্রিয়াও সারতে হত। কিন্তু কিছু না করে এইভাবে গাছ কাটা এক ধরণের চুরি বলেই গণ্য। এছাড়া একটি গাছ কাটার বিনিময়ে নতুন অনেক গাছ লাগাতে হয়। যেগুলি কিছুই করা হয়নি।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: পরকীয়ার কাঁটা সরাতেই স্বামীকে খুন, পুলিশের উপস্থিতিতে ঘটনার পুনর্নির্মাণ ধৃত স্ত্রীর]

প্রধান শিক্ষিকা সালমা বেগম বলেন, ‘‘অনেক পড়ুয়া থাকায় আরও ঘরের প্রয়োজন। সেই ঘর তৈরি করতে গেলে গাছগুলি কাটতে হবে। নইলে জায়গা হত না। ঘরের জন্য টাকা এসে যাতে ঘুরে না যায় তাই তড়িঘড়ি গাছ কাটিয়েছি৷ তবে এই গাছ কাটা হয় ম‍্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তে।’’ না জানিয়ে অবৈধভাবে গাছ কাটা হয়েছে বলেই দাবি কুশমন্ডি গ্ৰাম পঞ্চায়েতের সদস্য আছিয়া বেগমের৷ ঘটনার তদন্তে শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের তিন শিক্ষককে ডেকে পাঠানো হয়েছে।

ছবি: রতন দে

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ