Advertisement
Advertisement
ওভার থ্রো

ওভার থ্রোয়ে ছ’রান দেওয়া উচিত হয়নি, অবশেষে ভুল স্বীকার আম্পায়ারের

কেন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন? জানালেন আম্পায়ার ধর্মসেনা।

Cricket World Cup final: Umpire Kumar Dharmasena admits error
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:July 21, 2019 7:56 pm
  • Updated:July 21, 2019 7:56 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্টিন গাপ্তিলের একটা ওভার থ্রো বদলে দিয়েছিল বিশ্বকাপ ফাইনালের ছবিটা। ইংল্যান্ডের হাতে মুঠোয় চলে এসেছিল ম্যাচ। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের। ওভার থ্রোয়ে ঠিক কত রান পাওয়া উচিত ছিল বেন স্টোকসদের? ছয় নাকি পাঁচ? বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর থেকে এই বিষয়টিই ছিল আলোচনার শীর্ষে। একাধিক প্রাক্তন আম্পায়ারের ব্যাখ্যায়, পাঁচ রানই দেওয়া উচিত ছিল ফিল্ড আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনার। অবশেষে এনিয়ে মুখ খুললেন খোদ শ্রীলঙ্কান আম্পায়ার। ফাইনালের বাইশ গজে যে সঠিক সিদ্ধান্ত নেননি, তা স্বীকার করে নিলেন ধর্মসেনা।

[আরও পড়ুন: পন্থেই ভরসা! ধোনির অবসর প্রসঙ্গে মুখ খুললেন নির্বাচক প্রধান]

বিশ্বকাপের নির্ধারিত ইনিংসের শেষ ওভারের ঘটনা। ওভারের দ্বিতীয় বলে সিঙ্গল নেন স্টোকস। দ্বিতীয় রানটি নেওয়ার সময় গাপ্তিলের ওভার থ্রো গিয়ে লাগে স্টোকসের ব্যাটে। দুর্ভাগ্যবশত সেই বল চলে যায় বাউন্ডারিতে। সব মিলিয়ে সেই ডেলিভারি থেকে আসে ছয় রান। ধর্মসেনা ও আরেক ফিল্ড আম্পায়ার এরাসমাস ছ’রান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ওভার থ্রোয়ের নিয়ম অনুযায়ী, ফিল্ডার যখন বল থ্রো করছেন তার আগে যদি দুই দিকে থাকা ব্যাটসম্যান একে অপরকে পেরিয়ে যান, তবেই একটি রান গণ্য হয়। কিন্তু রিপ্লে-তে দেখা যায়, গাপ্তিল যখন থ্রোটি করেন, তখনও স্টোকস ও রাশিদ পরস্পরকে অতিক্রম করেননি। তাই হিসেব মতো সেই রানটি হয়নি। এই নিয়ম অনুযায়ী, চার ও একটি সিঙ্গল মিলিয়ে পাঁচ রান পাওয়ার কথা ইংল্যান্ডের। সেখানে মর্গ্যানরা পান ছয়। ফলে খেলা সহজ হয়ে পড়ে।

Advertisement

রবিবার ওভার থ্রো প্রসঙ্গে ধর্মসেনা বলেন, “আমি মানছি যে সিদ্ধান্ত নিতে সত্যিই ভুল হয়েছিল। এখন টিভিতে রিপ্লে দেখে সেটা বুঝতে পারছি। কিন্তু মাঠে রিপ্লে দেখার সুযোগ থাকে না। তাই যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তার জন্য অনুতপ্ত নই।” নিজের সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি আরও বলেন, “আমি লেগ আম্পায়ারের সঙ্গে আলোচনা করেই ছয় রান দিয়েছিলাম। কমিউনিকেশন সিস্টেমে অন্যান্য আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারিও সেসব শুনেছিলেন। কেউই রিপ্লে দেখেননি। কারণ সকলেই নিশ্চিত ছিলেন যে স্টোকসরা রানটা সম্পূর্ণ করেছিলেন। তারপরই নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানাই।” কিন্তু বাস্তব হল বাউন্ডারি কাউন্ট নিয়মে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে গিয়েছে ইংল্যান্ড। তাই এখন ভুল স্বীকার করলেও নিউজিল্যান্ডকে সান্ত্বনা দেওয়া কঠিন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: জল্পনা উড়িয়ে ক্যারিবিয়ান সফরে অধিনায়ক কোহলিই, দলে একঝাঁক তরুণ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ