Advertisement
Advertisement
মেট্রো

জরিমানা করেও থামছে না মেট্রোর দরজা আটকানো, প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে চলছে যাতায়াত

ভিড়ের চাপে দরজা বন্ধ হতে সমস্যা, ফলে দেরিতে চলছে ট্রেন।

New Kolkata Metro guideline delaying train movement
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:July 22, 2019 5:33 pm
  • Updated:July 22, 2019 5:33 pm

স্টাফ রিপোর্টার: একবার-দু’বার নয়। ভিড়ের চাপে মেট্রোর দুই পাল্লা জোড়া লাগাতে চালককে চেষ্টা করতে হল চার থেকে পাঁচ বার। ফলে প্রতি স্টেশনেই ট্রেন দাঁড়ল নির্দিষ্ট সময়ের থেকে বেশ কিছুক্ষণ বেশি। ফলে যা হওয়ার তাই হল। সপ্তাহের প্রথম দিনের সকালেই বেশ কিছুক্ষণ দেরিতে চলল মেট্রো। একটি মেট্রো দেরিতে চলার মানেই, বাকি ট্রেনও লেট।যার ফলে ভুগলেন যাত্রীরা। মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি, ভিড়ের চাপ দিন দিন বাড়ছে। সে কারণেই দরজা বন্ধ হতে সমস্যা হচ্ছে। হচ্ছে দেরিও।

[আরও পড়ুন: শাসকদলের বিরুদ্ধে দিল্লিতে অভিযোগ, ‘শহিদ’ পরিবার নিয়ে রাজধানীর পথে বঙ্গ বিজেপি]

দরজা বন্ধ হওয়ার মুহূর্তে মেট্রোয় ওঠা আটকাতে শর্তসাপেক্ষে হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তা সত্বেও পরিস্থিতি বদলাচ্ছে না। ব্যস্ত সময়ে কোনওমতে দেহটাকে রেকের মধ্যে গলিয়ে দিতে চাইছেন সবাই। কিন্তু কারও আটকাচ্ছে ব্যাগ। কারও ছাতা। কারও বা পা। ফলে দরজা বন্ধ হচ্ছে না। আর এই বিষয় নজরদারির জন্য দেখা মিলছে না আরপিএফেরও। সোমবার সকালেও সেই ছবিই দেখা গেল অধিকাংশ স্টেশনে। কবি সুভাষগামী এসি রেকে শ্যামবাজার, শোভাবাজার স্টেশনে সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ভিড়ের চাপে ট্রেনে উঠতেই পারলেন না অনেকে। কেউ কেউ চেষ্টা করে উঠতে পারলেও, ভিড় সহ্য করতে না পেরে নেমে যান। কিন্তু এই ওঠা-নামা করতে গিয়েই কিছু সময়ের জন্য আটকে পড়ে সকালের গোটা কয়েক ট্রেন।

যাত্রীদের দাবি, ট্রেনের ট্রিপ না বাড়ালে এই পরিস্থিতি হবেই। সকালে প্রত্যেকেরই অফিস যাওয়ার তাড়া থাকে। প্রত্যেকেই চান যে কোনও উপায়ে ট্রেনের ভিতরে ঢুকতে। কিন্তু অনেক সময়ই ট্রেনে এতটাই ভিড় থাকে যে ওঠা সম্ভব হয় না। তাই জোর করে উঠতে চান যাত্রীরা। তাঁদের বক্তব্য, একটা ট্রেন ছাড়ার পরও পরের ট্রেন যে ফাঁকা পাব, তেমনটা নয়। তাই কোন ভরসায় দাঁড়িয়ে থাকব! কিন্তু রেকের সংখ্যা না বাড়ালে যে তা সম্ভব নয়, তা বিলক্ষণ জানে কর্তৃপক্ষও। তারাও মানছে, সজল কাঞ্জিলালের দুর্ঘটনার পরও ব্যস্ত সময়ে যে পরিস্থিতি বদলেছে তেমনটা নয়। কিন্তু জরিমানার কথা বলে মানুষের মধ্যে ঝুঁকি নেওয়ার অভ্যাসে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু আসল সমস্যা ট্রিপের। যে সংখ্যক যাত্রী ট্রেনে উঠছেন, তাতে ট্রিপ বাড়ানোটাই একমাত্র রাস্তা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু তরুণীর, কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় পুলিশ]

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ